এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০১ ডিসেম্বর : নতুন বছরে ভারতকে উপহার দিল পাকিস্তানের অজ্ঞাত ব্যক্তিরা । মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের পর এবারে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকার মাসুদ আজরকে (Masood Azhar)খতম করল অজানা আততায়ীরা । আজ সোমবার ইংরাজি নতুন বছরের দিন ভোর ৫টায় গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জইশ-ই- মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজরকে খতম করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর । জানা গেছে, এদিন পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল ওই সন্ত্রাসবাদী । নামাজ পড়ে ফেরার পথেই তার চারচাকা গাড়িতে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে । বিস্ফোরণে গাড়ির ভিতরেই মৃত্যু হয় সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের । বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে গোটা গাড়িটি কার্যত দুমড়েমুচড়ে যায় ।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি-৮১৪ যাত্রীবাহী বিমানটি ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার সময় বিমানটি হাইজ্যাক করে জইশ-ই- মোহাম্মদের পাঁচজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী । বিমানটিতে ১৭৬ জন যাত্রী ছিল । তাদের মধ্যে ২৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় । সন্ত্রাসীরা একজনকে ছুরিকাঘাত করে এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করে । সন্ত্রাসীরা বিমানটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অমৃতসর, লাহোর, দুবাই হয়ে তালিবান শাসিতব কান্দাহার বিমানবন্দরে অবতরণ করান হয় । তারপর পনবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ভারতের জেলে বন্দি হরকাত-উল- মুজাহিদিন সন্ত্রাসী আহমেদ ওমর সাইদ শেখ, মাসুদ আজহার এবং একজন কাশ্মীরি সন্ত্রাসী মুশতাক আহমেদ জারগারকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ভারত সরকারকে ব্লাকমেলিং শুরু করে । সাত দিন ধরে চলে টানাপোড়েন । শেষে ভারত তিন সন্ত্রাসীকে মুক্তি দিতে সম্মত হলে বিমানযাত্রীদের মুক্ত করা হয়।
কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকে প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করেছিল পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালিবান । ১৯৯৯ সালে যে পাঁচ সন্ত্রাসবাদী আইসি-৮১৪ বিমান হাইজ্যাক করেছিল, তাদের অন্যতম জ়াহুর মিস্ত্রি ওরফে জাহিদ আকুন্দকে পরবর্তী কালে পাকিস্তানের করাচি শহরে খতম করেছিল অজ্ঞাত বন্দুকধারী । বিমান হাইজ্যাকের ঘটনার পর সে করাচির আখতার কলোনির একটি আসবাব পত্রের দোকান করেছিল । কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকে যুক্ত আর এক সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজরকে আজ অজানা ব্যক্তিদের বোমা বিস্ফোরণে খতম হল ।।