এইদিন ওয়েবডেস্ক,০১ জানুয়ারী : হিন্দুদের সুপ্রাচীণ প্রবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদ,পুরান,উপনিষদ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতার প্রতিটি ছত্রে চত্রে লুকিয়ে আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা । আধুনিক পৃথিবীতে হিন্দুদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ গুলি নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে । কিন্তু ইসলামি, ইংরেজ ও কংগ্রেসের শাসনকালে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ঐতিহ্যগুলি ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বারে বারে । এমনকি এখনো দেশের বামপন্থী, তামিলনাড়ুর ডিএমকে, বিহারের জেডিইউ এর মত রাজনৈতিক দলগুলি মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের লোভে হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুশাস্ত্রকে ছোট করে দেখানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় । কিন্তু এত বাধার মধ্যেও প্রাচীন সনাতনি গৌরব মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আজও ।
প্রাচীন ভারতে স্ত্রী ও পুরুষদের মধ্যে এমন কিছু প্রথা চালু ছিল যেগুলির মধ্যে গুঢ় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পান বিশেষজ্ঞরা । তার মধ্যে অন্যতম হল মেয়েদের পায়ের আঙুলে ধাতব আংটি পরার প্রথা । সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের হিন্দু নারীরা পায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় আঙুলে সোনা বা রূপোর আঙটি পরে আসছেন । ১২৩০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে যাদব শাসক রাজা কৃষ্ণদেবরায় দ্বারা নির্মিত ভুলেশ্বর মন্দিরে নারী ভাস্কর্যে তারই প্রমান পাওয়া গেছে । মন্দিরের একটি নারী ভাস্কর্যের পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে আঙটি লক্ষ্য করা গেছে । এখন প্রশ্ন মেয়েদের পায়ের আঙুলে আঙটি পরার পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি ?
আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রাচীন কালে হিন্দু নারীরা উভয় পায়ের আঙুলেই রূপালী ধাতু দিয়ে তৈরি আংটি পরতেন । আর সাধারণত পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে পরতেন সেই আংটি । কারন পায়ের দ্বিতীয় আঙুলের স্নায়ু সরাসরি মহিলার জরায়ুর সাথে সংযুক্ত থাকে । সুতরাং,পায়ের আঙুলের কারণে সামান্য চাপ মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এটি একটি সুস্থ জরায়ু নিশ্চিত করার জন্যও পরিচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ।
এছাড়া ঐতিহ্যগতভাবে, একজন বিবাহিত মহিলা তার পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে আংটি পরেন এবং অবিবাহিত মহিলাদের পায়ের তৃতীয় আঙুলে আংটি পরতে দেখা যায় । আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়ে থাকে যে অবিবাহিত মহিলাদের তৃতীয় পায়ের আঙুলে একটি রূপোর আংটি পরলে তা তাদের পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।।
ছবি ও তথ্যসূত্র : সৌজন্যে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হিন্দু টেম্পেলস ।