নীহারিকা মুখার্জ্জী,কেতুগ্ৰাম(পূর্ব বর্ধমান),৩১ ডিসেম্বর : দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্ৰামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাসুন্দী মহিমাচরণ মিশ্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটি সমাজসেবার কাজ করে চললেও সাহিত্যচর্চার প্রতিও যে তাদের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে আবার সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল। গত শুক্রবার শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে সংস্থাটি কর্তৃক পরিচালিত ‘জ্ঞান ও চেতনা’ পত্রিকাটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে একাদশ বর্ষ ‘সারা বাংলা কবি-সাহিত্যিক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক কবি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্ৰহণ করেন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কবিকে স্মারক ও মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় পত্রিকাটি। অনুষ্ঠানে অনেকেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। প্রবীণ কবিদের সাহিত্য সম্পর্কে মননশীল আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুকুমার রুজ, অধ্যাপক ডঃ সোমনাথ সরকার, বাচিক শিল্পী শিউলি সরকার, তুষার কান্তি মুখার্জী, সর্বানী চ্যাটাজী সহ অনেক বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক।
সংস্থার সম্পাদিকা অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, সংস্থার মূল উদ্দেশ্য আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবার ও এলাকার দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের সাধ্যমত সাহায্য করা। কিন্তু আমরা সাহিত্যচর্চার দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাইতো গত এগারো বছর ধরে পত্রিকাটি প্রকাশ করে চলেছি।
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অনামিকা দেবী ঘোষণা করেন, কেতুগ্ৰাম থানা এলাকায় অবহেলিত বঞ্চিত যে সমস্ত বৃদ্ধা মায়েরা ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করছেন তাদের যাতে আর ভিখারী হয়ে থাকতে না হয় তার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে আগামীদিনে সাধ্যমত তাদের দৈনিক অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।।