এইদিন ওয়েবডেস্ক,চেন্নাই,২৮ ডিসেম্বর : প্রয়াত হলেন তামিল সিনেমায় আশি এবং নব্বই দশকে সুপারস্টার বিজয়কান্ত । রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের সাথে আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিজয়কান্ত তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড ছিলেন । বিজয়কান্ত পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় পার্টি গঠন করেছিলেন । কিন্তু সিনেমার মত রাজনৈতিক জগতে তিনি সাফল্য পাননি । ১৯৭৯ সালে, এমএ কাজার ‘ইনিকুম ইলামাই’ ছিল বিজয়কান্তের প্রথম চলচ্চিত্র । প্রথম হিট ছবি ছিল এস এ চন্দ্রশেখর পরিচালিত ‘সাত্তম ওরু নেগ্রারাই’। ছবিটি ১৯৮১ সালে রিলিজ হয় । ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ১৮ টি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন । সেই সময়ের ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিলেন বিজয়কান্ত । বিজয়কান্তের ১০০ তম চলচ্চিত্র ছিল ক্যাপ্টেন প্রভাকর । ১৯৯১ সালে রিলিজ হওয়া ওই ছবির পর থেকেই তিনি ‘ক্যাপ্টেন’ হিসাবে পরিচিত হন । তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দক্ষিণি সিনেমা জগত ।
বিজয়কান্তের ছবি মূলত তামিল ভাষায় হলেও হিন্দি, তেলেগু এবং এমনকি কন্নড় ভাষায় পুনঃনির্মিত হয়েছিল । তিনি তামিল সিনেমায় ধারাবাহিক ভাবে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন । তার অভিনীত ১৫০ টি ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি হল বৈদেহি কাথিরুন্থাল, চিন্না গাউন্ডার, ভাল্লারাসু, পুলান ভিসারনাই, ভরথান, ইজাই জাটি, সেথুপতি আইপিএস, কারুপ নীলা, ধর্ম চক্রম, পেরিয়ান্নার । তবে বিজয়কান্তের সেরা সিনেমাগুলির মধ্যে একটি ছিল মণি রত্নমের লেখা ও প্রযোজিত ‘সাথরিয়ান’ ।
তবে ২০০০ এর দশকে তার ছবিগুলিতে একা পাকিস্তানে ঢুকে এবং সন্ত্রাসীদের হত্যা করার অবাস্তব ভূমিকায় অভিনয় দর্শকরা বিশেষ পছন্দ করেনি । তবে ওই বছর এ আর মুরুকাদোসের ‘রমনা’ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রের জন্য তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে, এটি বিজয়কান্তের সাম্প্রতিক সেরা চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি। ২০০৫ সালে, বিজয়কান্ত জাতীয় মুরপোক দ্রাবিড় কাজগম নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার দল সমস্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, কিন্তু ভক্তরা শুধুমাত্র বিজয়কান্তের নির্বাচনী এলাকায় সমর্থন করেছিল ।।