এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৬ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ মৃতের নাম কার্তিক চন্দ্র দাস (৪৫) । মৃতের শরীরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হওয়ার চিহ্ন থাকলেও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ঘিরে ধন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে । বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে নাকি ছেলে করন দাসের প্রহারে কার্তিকবাবুর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে । যদিও ছেলের দাবি যে একটা লাঠি দিয়ে মেরে বিদ্যুতের সংস্পর্শ থেকে তার বাবাকে সরানোর চেষ্টা করলে তখন তিনি শরীরে আঘাত পান । সোমবার রাতে মৃতদেহ উদ্ধারের পর আজ মঙ্গলবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে, কাটোয়া শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবীতলা এলাকায় বাড়ি পেশায় কাঠমিস্ত্রি বিপত্নীক কার্তিক চন্দ্র দাসের । বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা শোভারাণিদেবী ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে করন দাস । রাতে ঠাকুমার ঘরে ঘুমচ্ছিল করন । পাশের একটা ঘরে ছিলেন কার্তিক বাবু । সোমবার গভীর রাতে খবর পেয়ে কার্তিক দাসকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে কাটোয়া থানার পুলিশ । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশের নজরে পড়ে যে ওই ব্যক্তির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । পাশাপাশি রয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হওয়ার চিহ্নও ।
এই বিষয়ে করন দাসের দাবি,’প্রায় পৌনে বারোটা নাগাদ দেখতে পাই যে বাবার ঘরের লাইট অফ । তখন ঘরে গিয়ে দেখি বিদ্যুৎ লাইনের বোর্ডে লাগানো সুইচ খারাপ থাকায় লাইট না জ্বলায় বাবা মেরামতের চেষ্টা করছিলেন । আর তখনই প্লাগে আঙুল ঢুকে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হন । আমি পাশের ঘর থেকে একটা লাঠি এনে বাবাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি । আর তখনই তিনি আঘাত পান ।’
যদিও করনের এই দাবি মানতে চাইছেন না প্রতিবেশীদের একাংশ । তাদের দাবি বাবা ও ছেলের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না । তাদের সন্দেহ যে কার্তিকবাবুকে তার ছেলে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।