এইদিন ওয়েবডেস্ক,মস্কো,২৬ ডিসেম্বর : ইউক্রেনের ‘মারিনকা’ শহর পুরোপুরি নিজেদের দখলে চলে এসেছে বলে জানালেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু । রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে মারিনকা একটি “ভূতের শহর” হিসাবে পরিচিত। এক সময়ে এই শহরে ১০,০০০ মানুষের বসবাস ছিল । কিন্তু বর্তমানে শহরটি জনমানবহীন । এখন এই শহর রাশিয়ার দখলে চলে আসায় ডোনেটস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা পিছু হঠতে বাধ্য হবে । এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীর কাছে এখন একটি বিস্তৃত অপারেশনাল এলাকা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব ।’
মারিনকাকে দখলের আগে, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী গত মে মাসে বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বাখমুত পুনরুদ্ধারের জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর বারবার অভিযান সত্ত্বেও, রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধের কারণে তারা এই ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্য পায়নি । যদিও এখন পর্যন্ত, কিয়েভ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছিল যে রাশিয়ান বাহিনী মারিনকা শহর থেকে সরে গেছে । ইউক্রেনের একটি সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ডোনেটস্ক অঞ্চলের মারিনকা এবং নভোমিখাইলিভকা অঞ্চল থেকে শত্রুদের পিছু হঠিয়ে দিয়েছে এবং পাঁচটি রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে ।’ কিছু দিন আগে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন যে রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে তাদের আক্রমণ বাড়িয়েছে।
এর পাশাপাশি, কয়েকদিন আগে কিয়েভের একজন সামরিক কর্মকর্তাও বলেছিলেন যে পশ্চিম থেকে সামরিক সহায়তা হ্রাসের কারণে তারা এই এলাকায় তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে ।।