এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২২ মে : পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জেলা মালদহ মূলত কৃষি নির্ভর জেলা । এখানে পাটচাষ ও সিল্কের কাজ বহুল পরিমানে হয় । এছাড়া ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে মালদহের । তবে এসবের পাশাপাশি এই জেলার অর্থনীতি আম চাষের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল । মালদহে গোপালভোগ, বৃৃন্দাবনী, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাটি, কৃষ্ণভোগ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হলেও মূলত ফজলি আমের জন্য প্রসিদ্ধ এই জেলা । ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয় মালদহের আম । এবারে আমের উৎপাদনও ভালো হয়েছে । তা সত্ত্বেও চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ । কারন করোনার দ্বিতীয় প্রবাহের কারনে ফের শুরু হয়েছে লকডাউন । এখন এই পরিস্থিতিতে আমের রপ্তানি কি করে হবে তা নিয়ে চরম আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন আম চাষিরা ।
জানা গেছে, মালদা জেলায় প্রায় ৩০,৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিক টন । স্থানীয় আম চাষি গৌড় ঘোষ বলেন, ‘গত বছর লকডাউনের কারনে আমাদের প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল । এবারেরও আম ওঠার মুখেই লকডাউন শুরু হয়েছে । যানবাহন বন্ধ । বর্তমানে গোপালভোগ আম উঠছে । কিন্তু পরিবহনের সমস্যার কারনে মাল যাচ্ছে না । দু’একজন করে খরিদ্দার এসে মাল নিয়ে যাচ্ছেন বটে তবে রেট খুব কম । যে রেট ১০০০ টাকা হওয়ার কথা সেটা ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা রেটে বিকোচ্ছে । ফলে আমরা খুব চিন্তায় আছি । গতবারের মত এবারেও আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে । পর পর দু’বছরের ক্ষতি সামলে আর হয়তো ব্যাবসা করতে পারবো না ।’
আমের পাইকারি ব্যাবসায়ী বসির শেখ বলেন, ‘এবারে প্রচুর টাকার মাল কিনে রেখে দিয়েছি । কিন্তু লকডাউনের কারনে বাইরে মাল যাচ্ছে না । কেবল স্থানীয় এলাকায় অল্পবিস্তর বিক্রিবাটা হচ্ছে । এখন লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে সব মাল নষ্ট হয়ে যাবে । ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘করোনার কারনে পরপর দু’বছর চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হল । কিভাবে এই ক্ষতি সামলে উঠবো জানিনা ।’।