এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,২১ ডিসেম্বর : তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতেও ‘কুবেরের ভান্ডার’-এর হদিশ মিললো । বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ বিধায়কের সামশেরগঞ্জের বাড়ি,বিড়ি ফ্যাক্টরি, চা ফ্যাক্টরি, স্কুল, হাসপাতাল মিলে মোট ৮ জায়গায় টানা ১৯ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর পর নগদ ৭০ লক্ষ টাকা, প্রচুর সোনার গহনা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দপ্তর । এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ।
মুর্শিদাবাদের বিড়ি কারখানার মালিক তথা এক কালের সিপিএমের নেতা বাবর আলির বড় ছেলে বায়রন বিশ্বাস । সিপিএমের জমানা থেকেই বাবর আলির উত্থান শুরু হয় । পরে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরেও তার উত্থানের গতি অব্যাহত থাকে । বিড়ি ফ্যাক্টরি, চা ফ্যাক্টরি, স্কুল, বেসরকারি হাসপাতাল মিলে গড়ে তোলেন বিশাল সাম্রাজ্য । প্রথমে বাবার ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করলেও পরে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন বায়রন বিশ্বাস । সাগরদিঘির কংগ্রেসের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যু হলে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি । কিন্তু তার তিন মাসের মধ্যেই তিনি অভিষেক ব্যানার্জির হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । অনুমান করা হচ্ছে যে সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল । তার ভিত্তিতে বুধবার সাত সকালে বায়রন বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের ২৮ জনের তদন্তকারী দল। ওই দলটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে বিধায়কের বাড়িসহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালায় । পাশাপাশি বায়রন বিশ্বাস ও তার বাবা বাবর আলিকে প্রায় রাতভর জেরা করেন আধিকারিকরা ।
জানা গেছে,তল্লাশি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বাইরন বিশ্বাস । তাকে দ্রুত ধুলিয়ানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিত্সা করা হয় । বর্তমানে তিনি সুস্থ বলে জানা গেছে ।।