এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিয়ানা,২০ ডিসেম্বর : ভারতের আইন অনুযায়ী ইসলামি তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ । কিন্তু এক শ্রেণির মুসলিমরা আইনের তোয়াক্কা না করে মধ্যযুগীয় ইসলামি প্রথা ‘তিন তালাক’ ও ‘হালালা’ যথারীতি চালিয়ে যাচ্ছে । হরিয়ানার (Haryana) যমুনগরের (Yamunagar) এক মুসলিম মহিলা ‘তিন তালাক’ ও ‘হালালা’ প্রথার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ । যমুনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন যে তার স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পরেও রাত্রিবাসের নামে তাকে পরপর দু’দিন ধর্ষণ করেছিল । এমনকি তার দেবরও ‘হালালা’র নামে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তার ।
সংবাদ মাধ্যম অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদনে জানা গেছে,গত বছর ১০ আগস্ট ওই মহিলার স্বামী তাকে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল । পরে ওই বছর ২২ এপ্রিল মহিলা যমুনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে শালীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে মহিলার উপর হামলা (৩৫৪),ফৌজদারি বিশ্বাস লঙ্ঘন(৪০৬),২০১৯ সালের মুসলিম নারী বিবাহের অধিকার সুরক্ষা আইনের ৩ ও ৪ ধারা এবং আইপিসির ৪৯৮ ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,অভিযোগ দায়েরে পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মহিলার উপর চাপ সৃষ্টি করছেল তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এমনকি স্বামী ফের বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মামলা প্রত্যাহারের জন্য ফের চাপ সৃষ্টি করে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন । বিয়ে করার জন্য উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় । এরপর গত ২ অক্টোবর একসাথে রাত কাটানোর অজুহাতে মহিলার স্বামী তাকে ধর্ষণ করে । পরদিন আবারও তাকে ধর্ষণ করে । এরপর গত ৪ অক্টোবর মহিলার স্বামী তাকে সাহারানপুরে তার বাপেরবাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায় । পরে তার দেবর এসে হালালার নামে তাকে ধর্ষণ করে । দেবর জানায় যে তার সাথে হালালা না করলে তার দাদা তাকে ফের বিয়ে করতে পারবে না ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,নির্যাতিতা যখন তার শাশুড়ির কাছে ঘটনার কথা বর্ণনা করেন, তখন তিনি ইসলামে হালালাকে বৈধ দাবি করে দেবর দ্বারা ধর্ষণের কাজটিকে সমর্থন করেন । স্বামী ও দেবরের এই প্রকার বর্বরোচিত আচরণে শেষে বাধ্য হয়ে
নির্যাতিতা সাহারানপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । কিন্তু সেখানে এফআইআর নথিভুক্ত না করায় পরে তিনি যমুনানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । মামলাটি যমুনানগর থানা থেকে সাহারানপুর থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে ।।