এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ ডিসেম্বর : স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে,এই সন্দেহ প্রায় দিনই মদ্যপ অবস্থায় তাকে মারধর করত স্বামী । আর একারণে জামাইকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে এনে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আনন্দপুর থানার জরিবুটি গলি এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আলম হোসেন (২৯)। তার বাড়ি কলকাতার তিলজলা থানার সাতগাছি এলাকায় । এই ঘটনায় মৃতের বোন শাবানা পরভিনের অভিযোগের ভিত্তিতে আলম হোসেনের স্ত্রী এবং এক নাবালক সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতরা হল মৃতের স্ত্রী গুড়িয়া বিবি, গুড্ডি বিবি, তুন্না বিবি, রোশনি খাতুন এবং দৌলত খান । মঙ্গলবার ধৃত ৬ জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে ৫ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । নাববালক অভিযুক্তকে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে ।
জানা গেছে,বছর নয়েক আগে আনন্দপুর থানার জরিবুটি গলি এলাকার মেয়ে গুড়িয়া বিবির সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল আলম হোসেনের । তাদের তিন শিশুসন্তান রয়েছে । আলমের সন্দেহ ছিল যে তার অনুপস্থিতির সুযোগে অন্য কোনো পুরুষদের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে তার স্ত্রী । আর এই সন্দেহের বশে সে প্রায় দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক মাস আগে বাপের বাড়ি পালিয়ে যান গুড়িয়া । মৃতের বোনের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় আলমকে আনন্দপুর থানার জরিবুটি গলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় । সেখানে তাকে মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে বেদম মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । আলম অচৈতন্য হয়ে পড়লে তার বোনকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয় । এরপর তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।
জানা গেছে,সোমবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আলম । তাকে দ্রুত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই সে মারা যায় ।মঙ্গলবার সকালে এনিয়ে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের বোন । তার ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রী ও এক নাবালকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।