এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৮ ডিসেম্বর : কোনো সংস্থার চাকরির মতই রয়েছে স্থায়ী বেতন । কাজ না করলেও ঘরে বসেই মিলত পারিশ্রমিক । এমনকি দলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রয়েছে নিখরচায় চিকিৎসার সুবিধাও । তবে এটা কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়,আসলে এটি একটি ডাকাতদের দল । এমনই অভিনব ডাকাতদলের সন্ধান মিলেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় । কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না । দলের এক সদস্য ল্যাঙড়া মিন্টুর পায়ের চিকিৎসার জন্য এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৪ লাখ টাকা ডাকাতি করেছিল তারা । ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রটির ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন,’ডাকাতির ১৪ লাখ টাকা তারা দেড় লাখ করে ভাগ করেছিলেন। আমরা ছয়জন থেকে ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি। এলাকার খারাপ ছেলেগুলোর বড় ভাই হিসেবে পরিচিত মিন্টু। তিনি ডাকাদের সাপোর্ট দেন। কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য তিনি টাকার ভাগ পেয়েছেন । তবে অদ্ভূত বিষয় হল, কেউ ডাকাতির সময় অনুপস্থিত থাকলেও টাকার ভাগ পায় দলের সকলেই ।’
পুলিশ সূত্রে খবর,ডাকাত দলটির সেকেন্ড ইন কমান্ড মিজানুর । সমন্বয়কারী হল মিন্টু ওরফে ল্যাংড়া মিন্টু । দলের মধ্যে বয়স্ক হওয়ার কারনে বাকি সবাই তাকে সমীহ করে চলত । চক্রের সবাই পেশাদার ডাকাত । বহু দিন ধরেই এলাকায় সক্রিয় ছিল ওই চক্রটি । ডাকাতি করতে গিয়েই পা হারাতে হয়েছিল ল্যাংড়া মিন্টুকে । সম্প্রতি দলের একটা বৈঠকে স্থির হয় যে মিন্টুর কৃত্রিম পা লাগানো হবে । তাই চিকিৎসার খরচের জন্য ঢাকার শ্যামপুরের ব্যবসায়ী নুরুন্নবীকে বেছে নেয় তারা । শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ) রাতে দোকান বন্ধ করে নুরুন্নবী যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন ওই ডাকাতদলের খপ্পরে পড়েন তিনি । চোখে বালি ছিটিয়ে এবং কিছু স্প্রে করে দিয়ে তার কাছে থাকা ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালায় ওই ডাকাতদলটি । এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী ।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন,’আমরা তথ্য পেয়েছি, বিমল নামে এক ছেলে এর সঙ্গে জড়িত। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কিন্তু অন্যান্য ঘটনায় তাদের সঙ্গে থাকার কারণে এই ঘটনায় তার ভাগ দাবি করেছেন। তাই আমরা তদন্ত করে দেখছি, এই ঘটনার সঙ্গে মোট কতজন জড়িত। তবে ডাকাত চক্রটির মূল পান্ডা এখনও পলাতক ।’।