এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৮ ডিসেম্বর : দেশ থেকে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নির্মুল করতে উঠেপড়ে লেগেছে দুই কট্টর ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিমরা । দু’দেশে প্রতি দিনই ঘটছে অল্প বয়সী হিন্দু মেয়েদের অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করতে বাধ্য করার ঘটনা । পাশাপাশি মন্দিরে হামলা ও সংখ্যালঘু দের ঘরবাড়ি-জমিজায়গা দখলে ঘটনার ঘটনা সমানে ঘটে চলেছে । এমনকি শ্মশান পর্যন্ত জবরদখল করে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে ।
গত ১৬ ডিসেম্বর ‘বিজয় দিবস’-এর আগের দিন রাতে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার পরপর তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে ইসলামি জিহাদিরা । ভাঙচুর করা হয়েছে দেবদেবীর মূর্তি । ওই তিনটি মন্দির হল কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, বিষ্ণু পাগলের আশ্রম ও দামোদর আখড়া । ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকালে আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তায় মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে আলফাডাঙ্গার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । যদিও আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মন্দিরে হামলায় যুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।
পাশাপাশি বাংলাদেশের লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের একটি শ্মশানকে জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আইয়ুব আলী (৫৫) নামে এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে । জানা গেছে,দুলালী গ্রামের পাশের মাঠে ১৩ শতক জমির উপর রয়েছে ওই শ্মশানটি । শ্মশানের জায়গাটির চারদিকের জমির মালিক আইয়ুব আলী । সে ওই শ্মশানটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিল । কিন্তু একমাত্র গ্রামের শ্মশান হওয়ায় হিন্দুরা জায়গাটি হাতছাড়া করতে চায়নি । এই দেখে আইয়ুব আলী একটা ফন্দি আঁটে । গত মঙ্গলবার ও বুধবার আইয়ুব আলী এক্সেভেটর দিয়ে শ্মশানের চারদিকে খাল কেটে দিয়ে খালে জল ঢুকিয়ে দেয় । ফলে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে হিন্দুদের ।
এছাড়া বাংলাদেশের গাইবান্ধার উত্তর ধোপাডাঙ্গা সুন্দরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হীরেন্দ্রনাথ বর্মনের কিশোরী মেয়ে সঞ্চিতা রানীকে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ রেজাউল করিম (৩০) এর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি গত নভেম্বর মাসের । রেজাউল বিবাহিত এবং তার একাধিক সন্তান আছে বলে জানা গেছে । মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি জিহাদি রেজাউল করিমকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় হিন্দুরা ।।