প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ ডিসেম্বর : কেউ দেখালো কালো পতাকা আবার কেউ করলো বিক্ষোভ প্রদর্শন ।তবুও বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বললেন,আমার খুবই ভালো লাগছে’।একই সঙ্গে
তিনি বলেন,বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলি দেশের মধ্যে সেরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ’স্বপ্নের ভারত প্রকল্প ’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর করার চেষ্টা
করছে । তাই কোন সংঘাত নয়। সমঝোতার মধ্যদিয়েই ’বেঙ্গল মডেল’ এবং উন্নয়ন মূলক দেশ
গড়ার জন্য যা প্রয়োজন সেটা করতে হবে।
রাজ্যপাল এদিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের
সময় পথের ধারে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সদস্যরা কালো পতাকা ও শ্লোগান লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে । তারা ’শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃৃষ্টিকারী রাজ্যপাল দূর হটো – এই স্লোগানও দিতে থাকে । এমনকি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ বন্ধেরও দাবি জানা। অন্যদিকে সিপিএমের ছাত্র সংঘঠন এস এফ আই এর সদস্যরাও প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় ।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে অডিটোরিযামে বক্তব্য রাখার সময় এসব নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেন নি ।
উল্টে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রসঙ্গ সামনে এনে তিনি বলেন,“আমি খুবই সন্তুষ্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ’বাংলা মডেল ’করার জন্য রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী মিলে কথা বলে যে এজেন্ডা আছে তা মেটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ দিয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে,রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। নিজেদের মধ্যে বোঝাবুঝি বা আলোচনার এই উদ্যোগকে বাংলা মডেল বলা হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন,কোন বিরোধ বা দ্বন্দ্ব নয়। দ্বন্দ্বে কোন সমস্যার সমাধান হয় না। আচার্য হিসাবে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উন্নয়ন মূলক দেশ গড়ার জন্য কি কি দরকার, কি কি প্রয়োজন সেই নিয়ে আলোচনা করছি।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এদিনের সভায়
রাজ্যপাল বলেন,২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্ণ হবে । প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন,২০৪৭ সালে ভারত উন্নয়নের দেশ হবে। ভারতের কাছে যুবকদের শক্তি আছে।প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যুবকদের আত্মবিশ্বাস গড়তে হবে। ভারতের যুবকরাই বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। যুবকরা একত্রে থাকলে খুব সুন্দরভাবে পরিবর্তন করা যাবে। গুরুদেবের কথায় বলতে গেলে, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত’। এরপরেই রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায় আমরা দেশের জন্যে, মাটির জন্যে গর্বিত।‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুণ্য হউক পুণ্য হউক, হে ভগবান’।।