এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৪ ডিসেম্বর : ভারত আংশিক সময়ের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে । আর তাতেই প্রমাদ গুনছে প্রতিবেশী ইসলামি রাষ্ট্রটি। বাংলাদেশের কোথাও কোথাও পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজি পিছু ১২০ টাকা এবং খুচরো দাম প্রতি কেজি ১২৫ টাকা। তাও খুচরো বিক্রেতারা এক বা দুই বস্তার বেশি পেঁয়াজ একসঙ্গে কিনতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুচরো ক্রেতাদের সর্বোচ্চ এক কেজির বেশি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না । বিক্রেতাদের সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে মাঠ থেকেই পেঁয়াজ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে ।
হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে ক্ষেত থেকেই পেঁয়াজ চুরির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তাই পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে রাত জেগে মাঠে পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
জানা গেছে,চলতি মরশুমে মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করছেন বাংলাদেশের কৃষকরা । প্রতি বিঘায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচে ৬০-৭০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের বাজার দর ৪ হাজার টাকা। চুয়াডাঙ্গায় এবার ৮৯৪ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১১ হাজার ৬২২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের । এতে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা বাংলাদেশের কৃষকদের । কিন্তু যেভাবে মাঠ থেকে পেঁয়াজ চুরির প্রবনতা বেড়েছে তাতে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ বাড়িতে আনতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ৷
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী,ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর চীন ও পাকিস্তানের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ । ওই দুই দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল । কিন্তু বাংলাদেশের দুই বন্ধু রাষ্ট্র আগ্রহ না দেখানোয় এখন প্রমান গুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ‘ভারত বিদ্বেষী’ জনগন ।।