হঠাৎ একটা হুমকি ফোন, “খবর টা করবেন না, দাদার বারণ
অফিসে এসে দেখা করুন, বুঝিয়ে দেবো কারণ”
মুচকি হেঁসে কলম ধরি
তোর দাদাকে থোড়াই কেয়ার করি ?
আমরাই তুলে ধরি সমাজের ভুল-ঠিক
পছন্দমত খবর না হলেই আমাদের তকমা, “ব্যাটা বদমাইশ সাংবাদিক”।
আমরা সত্যান্বেষী, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ
আমরাই পারি ভাঙতে দাদাদের সব দম্ভ।
অজানা রহস্যের সন্ধানে
কতখানি ঝুঁকি একমাত্র সাংবাদিকরাই জানে
যখনই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে
এডিটরের প্রশ্ন,”কেনো যাচ্ছ রং রুটে?”
ওঁদের স্পনসরেই আমাদের বেতন চলে
তোমার চাকরিটা গেলো জলে”।
তবু আমরা অপ্রতিরোধ্য, আমরা নির্ভীক
ওঁদের কাছে অবশ্য,”ব্যাটা, পিছনে লাগা সাংবাদিক”।
কলম-ক্যামেরা-আর একটা ছোট্ট ডায়েরি আমাদের যুদ্ধের অস্ত্র
আমরাই তুলে ধরি সমাজের নগ্নতা
খুলে ফেলি তোমাদের পরানো কৃত্রিম বস্ত্র।
ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন সম্প্রচারে আসন যখন নড়ে চড়ে
একরাশ দুশ্চিন্তা আঁকড়ে ধরে
কখন যে হবো লাশ রাতের অন্ধকারে।
মাঝে মাঝে কলম কেনার খদ্দের আসে
আমাদের কলম তখন পরিবারের আবদারের হিসাব কষে।
বিক্রি হবো কেমনে
নীতিবোধের যে পাল্লাভার
তবু আমাদেরই কপালে জোটে
ব্যাটা, সাংবাদিক দু-পয়সার ।।