এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ ডিসেম্বর : রেশন দুর্নীতি মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রিয়পাত্র ‘বালু’ ওরফে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কালো টাকা সাদা করতেই জ্যোতিপ্রিয়ের পরিকল্পনায় রেশন দুর্নীতির ছক কষা হয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি । আর মন্ত্রীর সেই পরিকল্পনায় সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছিল বাকিবুর রহমানের মত কিছু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠরা । ইডির দাবি, দুর্নীতি করে কামানো কালো টাকা সাদা করার জন্য রীতিমতো ছক কষেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় । ঘনিষ্ঠদের পরিবারের সদস্যদের নামে খোলা হয়েছিল ভূয়ো কোম্পানি । তাদের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেই অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হত । মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে জ্যোতিপ্রিয়র ইশারাতেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি টাকা বাকিবুরের তৈরি ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছিল । কিন্তু তারা আদপেই কৃষক নয় বলে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জানিয়েছে বাকিবুরের কোম্পানির অডিটর । তিনি জানান যে যে ৫০ জনের কৃষক বানিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তারা আদপে সংস্থার কর্মচারী । ওইসব ভুয়ে কৃষকদের কাছে থেকে ধান কেনার নাম করেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি কর্পোরেশন লিমিটেড। মূলত সংস্থার চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই টাকা পাঠানো হয় । ধান না কিনেই টাকা ওই সমস্ত ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি । সেই টাকা ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অ্যাকাউন্টে । এভাবেই কালো টাকা সাদা করার নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ‘বালু’ ।
ইডি সূত্রে খবর,রেশন দুর্নীতি কান্ডে যে ১০ টি কোম্পানির নাম প্রকাশ্যে এসেছে তার মধ্যে ৫টি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের । বাকী ৫টি কোম্পানির মালিক বাকিবুর রহমান । রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের ১৬২ পাতার চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবর রহমানসহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে । প্রমাণ স্বরূপ চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে প্রচুর নথি ও হার্ড ডিস্ক এবং যোগ করা হয়েছে পিএমএলএ ধারাও । আজ বুধবার ফের আদালতে তোলা হবে বাকিবুরকে ।।