সাপের পাঁচ পা দেখেন কর্তা অবসরের পরে
ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাঙটি তুলে থাকেন এখন ঘরে।
অফিস টফিসের নেইকো বালাই ছুটি এখন নিত্তি
গা জ্বলে যায় দেখে আমার ছেরপে যায় পিত্তি।
বসে কেবল হুকুম জারি যেন আমি দাসী
বিয়ের পরেই বলেছিল বড্ড ভালোবাসি।
বুঝছি এখন হাড়ে হাড়ে কেমন ভালোবাসা
চেয়েছিল জানতে কর্তা আমার অভিলাষা।
কেজি খানেক ছোট মাছ দিল এনে ঢেলে
বাছতে বাছতে ম্যানিকিওর গেল সব জলে।
আঙুল গুলোর বেহাল দশা চোখে আসে জল
পালাবার নাই রে পথ এযে বুড়োর ছল !
কি ভেবেছো ! পা টেপাবে বৌকে এবার দিয়ে !
করলাম ভাগ কাজগুলো সব দাঁড়িপাল্লা দিয়ে।
আমিও কম যাই না বুঝিয়ে দিলাম কাজে
সবকিছু তো সমান সমান সংসারে যা আছে।
শুনে কর্তার চোখ দু’খানি উঠল করে চকচক তাহলে গিন্নি শুরু করো থামিয়ে দিয়ে বকবক।
এবার থেকে প্রতিদিন বাজার করবে তুমি
দু’বেলার রান্নাটা না হয় করে দেবো আমি ।
মাজবে তুমি ঝকঝক করে এঁটো বাসন যতো
কাজের মেয়ে ছুটি নিয়েছে দুই মাসের মতো।
রুটি আমি বানিয়ে দেবো মাখবে তুমি আটা
কষা মাংসের মশলা হবে শিলনোড়ায় বাটা ।
এই খানেই শেষ নয় আরও কিছু আছে
মাটি খুঁসিয়ে ঢালবে জল ছাদ বাগানের গাছে।
আপাতত এটাই করো বাকিটা হবে পরে ।
মশারীটা টাঙিয়ে দিও ঘুমটা আসার পরে ।
টিভির আওয়াজ কম করো দিও না ঘুম ভাঙিয়ে
দয়া করে সময় মতো মশারী দিও টাঙিয়ে।।