এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্তান,১২ ডিসেম্বর : সন্ত্রাসীর আঁতুড় ঘর পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নতুন নয় । খুন,ধর্ষণ,সম্পত্তি জবরদখল, অল্প বয়সী মেয়েদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে মুসলিমের সঙ্গে নিকাহ করতে বাধ্য করার ঘটনা আকছার ঘটে থাকে । এবারে পাকিস্তানে ৯ বছরের হিন্দু মেয়েকে বিদ্যুতের শক দিয়ে ‘কলমা পড়ানো’ এবং ৫৪ বছরের মৌলানার সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠছে । সেই পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ।
স্যাফরন স্বামী নামে এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী নির্যাতনের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে, ‘বর্বর ও ভয়ংকর গল্প! অসহায়ত্ব এবং ব্যথা অনুভব করুন ! ৯ বছর বয়সী নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে এবং পাকিস্তানে “কলমা” পাঠ করতে বাধ্য করা হয়েছে ।
মেয়েটি কলমা আবৃত্তি করেছে এবং এখন সে মিসেস । তার বিয়ে হয়ে গেছে ৫৪ বছর বয়সী মৌলানার সাথে ।’
যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি । তবে সাম্প্রতিক সময়ে অল্প বয়সী হিন্দু মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার অসংখ্য নজির রয়েছে পাকিস্তানে । পাকিস্থান আনটোল্ড (@pakistan_untold)-এর এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের খয়েরপাড় (Khairpr) এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারকে হুমকি দেখানো হয়েছে হয় তাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে হবে, নচেৎ জিজিয়া কর দিতে হবে । এমনকি স্থানীয় মুসলমানরা ওই হিন্দু পরিবারের বাড়ি জবরদখলের চেষ্টা করছে বলেও জানানো হয়েছে ।
অল্প বয়সী হিন্দু মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করার অসংখ্য নজির তুলে ধরা হয়েছে । বলা হয়েছে,সিন্ধু প্রদেশের উমেরকোটে(Umerkot) ১২ বছরের হিন্দু কিশোরী দাদলি ওয়াদ(Dadli Oad) অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় । পরে তাকে আলি মারদান(Ali Mardan) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নিকাহ করতে বাধ্য করা হয় ।
সিন্ধু প্রদেশের চম্বার (Chambar) এলাকায় অনিমা নামে এক হিন্দু প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
সিন্ধু প্রদেশের দুই হিন্দু তরুনী পুনম(২৫) ও রেখা (২০) সহ তারা(৩) নামে একজন কিশোরীকে অপহরণ করেছে টান্ডো গুলাম হায়দার,নওয়াজ ও আহমেদ নামে তিন মুসলিম ব্যক্তি ।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর(Sukkur) এলাকায় করিশ্মা (Karishma) নামে এক হিন্দু মেয়ের উপর কয়েকদিন ধরস পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে মেরে ফেলেছে মুজাহিদ (Mujahid) নামে এক মুসলিম ব্যক্তি । এছাড়া স্নেহা কেশওয়ানি (Sneha Keswani) নামে এক মেডিকেল পড়ুয়ার কলেজের ছাত্রাবাসের মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে । ওই হিন্দু তরুনী সিন্ধু প্রদেশের খায়ের মেডিকেল কলেজের (Khair Medical College) ছাত্রী ছিলেন । তার মৃত্যু আজও রহস্য রয়ে গেছে । এর বাইরেও এমন অনেক অসংখ্য নজির রয়েছে পাকিস্তানে । কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই অপহরণকারী, খুনি, ধর্ষকরা পাকিস্তানি পুলিশ, প্রশাসন ও আদালতের সহযোগিতা পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।।