এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১১ ডিসেম্বর : মধ্যপ্রদেশেও মুখ্যমন্ত্রীর পদে নতুন মুখ নিয়ে এল বিজেপি । আজ সোমবার বিধায়ক দলের বৈঠকে ৫৮ বর্ষীয় মোহন যাদবের নাম নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে ৷ জানা গেছে,বিধানসভা দলের বৈঠকে শিবরাজ সিং চৌহান এবং মোহন যাদবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মোহন যাদবের নাম সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয় । মধ্যপ্রদেশের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র সিং তোমর। ছত্তিশগড়ের মতো মধ্যপ্রদেশেও দুটি উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হয়েছে ।
বিজেপি মধ্যপ্রদেশের ২৩০ টি বিধানসভা আসনের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । বিজেপি পায় ১৬৩ টি আসন এবং কংগ্রেস ৬৬ টি আসনে জয়লাভ করে । একটি আসনে জয় পেয়েছে ভারত আদিবাসী পার্টি। বিজেপি পেয়েছে ৪৮.৫৬ শতাংশ ভোট, আর কংগ্রেস পেয়েছে ৪০.৪০ শতাংশ ভোট । এবারে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেনি বিজেপি । শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শিবরাজ নির্বাচনে জিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না তা বলা হয়নি। শিবরাজ সিং নিজেই বহুবার বলেছেন যে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করছেন। ফলে অনুমান করা হচ্ছিল যে ছত্রিশগড়ের মত মধ্যপ্রদেশেও চমক দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটি ।
আজ বিকেলে ভোপালে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে বিধায়ক দলের বৈঠক ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা । বিপুল সংখ্যক বিজেপি নেতা-কর্মীরা অফিসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। ভিতরে যখন বিধানসভা দলের সভা চলছিল, তখন বাইরে শিবরাজ সিং চৌহান, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আরও কয়েকজন নেতার নাম সহ স্লোগান উঠছিল। কিন্তু মোহন যাদবের নাম সামনে এলে সবাই হতবাক হয়ে যান । এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে বিজেপি হাইকমান্ড আজ ভোপালে পর্যবেক্ষকদের একটি দল পাঠিয়েছিল। ওই দলে ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, আশা লাকড়া এবং বিধায়ক কে লক্ষ্মণ।
ওবিসি সম্প্রদায়ের মোহন যাদব সঙ্ঘের খুব কাছের বলে পরিচিত । তিনি উজ্জয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃতীয়বারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন । ২০১৮ সালে শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহন যাদব । এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমিতির অনেক পদে কাজ করেছেন এবং ছাত্র পরিষদেও দায়িত্ব পালন করেছেন ।।