এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২০ মে : জ্বর,কাশি, বমি আর সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট । মোটামুটি এই উপসর্গে ভুগছে গ্রামের বেশ কিছু মানুষ । বিগত একমাসের মধ্যে এই লক্ষন নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২–১৪ জনের । অবশ্য কারোরই কোভিড পরীক্ষা হয়নি । ফলে মৃত্যুর কারন করোনা কিনা তা অজানা । সম্প্রতি গ্রামবাসীরা কোভিড পরীক্ষা করাতে শুরু করলে ৮০ জনের মধ্যে ১৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে । আর এতেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পলসোনা গ্রামে । করোনা আতঙ্কে গ্রামবাসীদের মধ্যে বেড়েছে কোভিড টেস্টের প্রবনতা । ঘুম ছুটেছে প্রশাসনেরও । বিগত কয়েকি দিন ধরে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা গ্রাম । বৃহস্পতিবারও প্রশাসনিকভাবে গ্রামের বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজ করা হয় । বাদ যায়নি সার্বজনীন দুর্গামন্ডপও ।
কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গ্রাম স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভবনের একটি ঘরে সেফহোম করা হয়েছে । আ্যম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য এলাকায় প্রচার করে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বিগত কিছু দিন ধরে পলসোনা গ্রামের বেশ কিছু মানুষের জ্বর,কাশি ও বমির উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে । তাদের মধ্যে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও দেখা দেয় বলে জানা গেছে ৷ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই উপসর্গ নিয়ে গত একমাসের মধ্যে শুধু পলসোনা গ্রামেই ১২ – ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে । তাদের মধ্যে কয়েকজন বৃদ্ধ বৃদ্ধা ও বাকিরা মধ্যবয়সী ছিলেন । গ্রামবাসী বংশীধর ঘোষের জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশের কোভিড টেস্ট করানো হয়নি । শুধু ৩-৪ জনের কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছিল । তাদের মধ্যে তিনজনের পজিটিভ রিপোর্ট ছিল । বাকিদের মৃত্যু কোভিডের কারনেই হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় ।
জানা গেছে,এদিকে প্রায় একই উপসর্গে গ্রামে একের পর এক মৃত্যুর পর টনক নড়ে গ্রামিবাসীদের । বাড়ে কোভিড পরীক্ষার প্রবনতা । শুধু পলসোনা নয়, পাশের রোন্ডা গ্রামবাসীরাও শারিরীক সমস্যা দেখা দিলেই কোভিড পরীক্ষা করাতে শুরু করে । দুই গ্রাম মিলে এযাবৎ ১৭ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে বলে খবর । আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা । এদিন গোটা পলসোনা গ্রাম স্যানিটাইজ করা হয় ।
কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্তরাজ শুক্লা বলেন, ‘পলসোনা গ্রামে ১২ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে । ওই গ্রামে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে । পাশাপাশি গ্রামে সেফহোম গড়ে তোলার বিষয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে । এছাড়া মানুষ যাতে অযথা ভয় না পান তার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে ।’।