সকাল থেকে কেমন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে।
অথচ আমি…
সেই তখন থেকে
গোমড়া মুখো আকাশের দিকে তাকিয়ে
বসেই আছি!
আমাদের তো কথা ছিল,
এক বৃষ্টির বিকেলে তুমি আর আমি
হাত ধরাধরি করে ভিজে রাস্তায় হাঁটব,
ভিজে সপসপ করবে আমার গায়ের ময়ূরকন্ঠী শাড়ি আর তোমার ওই নীলরঙের পাঞ্জাবিখানা।
আমরা দুজন হারিয়ে যাওয়ার গল্প করতে করতে সত্যি সত্যিই হারিয়ে যাব
এই চাক্ষুষ পার্থিব জগৎ থেকে সবার অলক্ষ্যে।
নীল নীল মেঘের গায়ে ঝুলিয়ে দেব
ভালোবাসার ঝুমকোলতা ফুল।
তুমি হাত বাড়াবে আগে আর আমি ছুট লাগাবো জোরে
ওই যে দূরে… তেপান্তরের ওই ঝিলপাড়ে
যেখানে পৌঁছনোর প্রতিযোগিতায় তুমি হেরে যাও বারবার,
আবার… আবারও যাবে হেরে।
তবু গলা তুলে ডাক ছাড়বে, বলবে-
আস্তে যাও, পথ যে বড় পিছল।
সামলে চলো… সামলে চলো লক্ষ্মীটি…
আমি খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে হারিয়ে যাব!
হারিয়ে গেছি আমি, হারিয়ে গেছ তুমি
তবু এই অসময়ে বৃষ্টি এলে
সবার প্রথম, কেন যে তোমায় মনে পড়ে!
এখানে এখন খুব জোরে জোরে বৃষ্টি হচ্ছে, মুষলধারে।
এমন বৃষ্টিঝরা মন কেমনের দিনে আমার ভীষণ ভিজতে ইচ্ছে করে
নিজেকে ভুলতে ইচ্ছে করে…
বড়ো সাধ হয়
হাতের মুঠোয় থাকুক তোমার হাত।
আমরা হবো স্বপ্নসুখের দূত
ছড়িয়ে দেব ভালোবাসার গান
ভরিয়ে দেব ভালোবাসার আলো।
তুমি, আমি, আমরা দুজন হবোই দলছুট।
এই ভালোবাসার শহরে
একটা ভালোবাসার মানুষের বড় অভাব।
অথচ আমাদের তো কথা ছিল,
ভালোবেসে হারিয়ে যাওয়ার আগে
একটা জলসা বসাব।
জলসা কি আর একা একা হয় গো!