জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৮ ডিসেম্বর : একে কী বলা যাবে – প্রদীপের নীচে অন্ধকার! গুসকরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও ডেঙ্গু রুখতে পুরসভার সাফাইকর্মী ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সদা সচেতন রয়েছে। নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার করা হচ্ছে। বাড়ির কোথাও জল জমা আছে কিনা সেটা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছে এবং বাড়ির মালিকদের সচেতন করছে। মশার লার্ভা নিধনে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কখনো কখনো গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।
পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকি করতে প্রায়ই পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরার পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম সহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে দেখা যাচ্ছে। কর্মীদের ও ওয়ার্ডবাসীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে তারা নিজেরাও পরিচ্ছন্নতার কাজে হাত লাগাচ্ছেন। শহরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় ফুল গাছ বসানো হচ্ছে। দূষণ রোধ করতে ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। তারপরও ব্যক্তিগত মালিকাধীন বেশ কয়েকটি অপরিচ্ছন্ন পুকুর শহরবাসী তথা বিভিন্ন কাজে শহরে আসা আশেপাশের এলাকার মানুষের কাছে বিসদৃশ লাগছে। এদের অন্যতম হল পুর অফিসের পশ্চিম দিকের একটি পুকুর।
অগভীর পুকুরের মাঝে যেভাবে নোংরা আবর্জনা পড়ে আছে হঠাৎ দেখলে পুকুরের পরিবর্তে ওটাকে ডাম্পিং গ্রাউণ্ড বা খোলা মুখ ডাস্টবিনের বৃহত্তম সংস্করণ বলে মনে হবে। একাধিক মালিকানাধীন পুকুরটি সংস্কার না করার ফলে দৃশ্য দূষণের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। বায়ু দূষণের জন্য পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কাজে পুরদপ্তরে আসা সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সমস্যায় পড়ছে। এমনকি পুকুরের দু’পাড়ের বাসিন্দা সহ পাশে থাকা দোকানে আসা খরিদ্দার ও রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা নাকে রুমাল চাপা দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। ভারি বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি চরম খারাপ হয়ে ওঠে। পুকুরের নোংরা এসে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেয়। রাস্তার উপর জল উঠে যায়।
কুশলবাবু বললেন,’একাধিক মালিক থাকায় পুকুরটি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকছে। আর্থিক বা অন্যান্য কারণে যদি মালিক পক্ষ পুকুরটি পরিচ্ছন্ন করতে না পারে তাহলে সেক্ষেত্রে শহরবাসীর স্বার্থে এটি পুরসভাকে দান করতে অনুরোধ করব। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মৎস চাষের লক্ষ্যে পুরসভা অব্যবহৃত ও অপরিচ্ছন্ন পুকুরটি তখন কাজে লাগাতে পারবে। পুরসভার পক্ষ থেকে খুব তাড়াতাড়ি আমরা একটা উদ্যোগ নেব। আমাদের আশা মালিক পক্ষ সবার স্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’ যোগাযোগ করতে না পারার জন্য মালিক পক্ষের মতামত জানতে পারা যায়নি।।