প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ মে : কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা না পেয়ে এবার স্বোচ্চার হল বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যাণ্ড ড্রাগগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন। তারই মধ্যে টিকার দাবিতে বুধবার পুরোদস্তুর আন্দোলনে শুরু করেদিলেন অ্যাসোসিয়েশনের অধীন বর্ধমান শহরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা। কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা দ্রত না পেলে আগামী দিনে ওষুধের দোকান বন্ধ করে রাখারও হুমকিও এদিন দিয়ে রাখেন কেমিস্টস অ্যাণ্ড ড্রাগগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের অধীন বর্ধমানের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ।
রাজ্য জুড়ে কোভিড সংক্রমনের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী । পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।এমন পরিস্থিতির মধ্যেও জেলায় ভ্যাকসিনেশন নিয়ে অচলাবস্থা কাটছে না ।গত কয়েকদিন ধরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সহ অনেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যত থমকে রয়েছে । কেবলমাত্র সরকারি উদ্যোগে কিছু হকার, ড্রাইভার ও কিছু সাংবাদিকদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।কিন্তু কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাওয়ার সৌভাগ্য না হওয়ায় বেজায় চটেছেন শহর বর্ধমানের কল্যাণী মার্কেট চত্ত্বরের ওষুধ ব্যবসায়ী ও ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তারা এখন কার্যতই দিশেহারা।
বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলার এডমিনিস্ট্রেটিভ সেক্রেটারি গঙ্গাধর খাণ্ডেওয়াল এদিন বলেন,“ রাজ্য সরকার গত ১৮ মে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। কোভিডের টিকা পাওয়ায় জন্যে তাতে পেট্রোল পাম্প, হর্কাস, পরিবহন কর্মী, সেক্স ওয়ার্কারদের নাম থাকলেও ওষুধ ব্যবসায়ী ও ওষুধ দোকানের কর্মীদের কোনো নাম তাতে নেই। এই প্রসঙ্গে গঙ্গাধর বাবু ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন,বর্তমান সময়ে জীবন বাজি রেখে ওষুধ ব্যবসায়ী ও ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সাথে মেলামেশা করছেন। ইতিমধ্যে কল্যাণী মার্কেটের বেশ কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মারাও গেছেন কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী।এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেই তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে কভিড ভ্যাকসিনের জন্যে জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ জেলা ও রাজ্য আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানান । কিন্তু কোন কাজই হয়নি। গঙ্গাধর বাবু এদিন হুঁশিয়ারি দেন, ‘জেলার ওষুধ ব্যবসায়ী ও ওষুধের দোকানের কর্মচারীদের দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা না হলে ওষুধের দোকান বন্ধ করে রাখতে তারা বাধ্য হবেন ।’
অন্যদিকে বিসিডিএ সেক্রেটারি মৃণাল তা বলেন, ‘পূর্ব বর্ধমান জেলায় কয়েক হাজার পাইকারি ও খুচরো ওষুধের দোকান রয়েছে।ওষুধ ব্যবসায়ীরাও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা মধ্যে পড়েন।ডাক্তারদের পরেই তাঁরা রয়েছেন।অথচ তাঁদের কোভিড ভ্যাকসিন না দেওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত রয়েছেন।ওষুধ ব্যবসায়ী ও ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিন টিকা না পেলে এরপর ওষুধের দোকান বন্ধ করে রাখা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় থাকবে না ।’।