এইদিন ওয়েবডেস্ক,স্টকহোম,০৮ ডিসেম্বর : একটি ক্রুজ জাহাজে এক সুইডিশ মহিলাকে গণধর্ষণকারী দুই ইরাকি অভিবাসীকে নির্বাসনের আবেদন প্রত্যাখান করল সুইডেনের আদালত । ধর্ষক দুই ইরাকি অভিবাসী সুইডেনে থাকবে কারণ এই দু’জনকে সুইডিশ সমাজে “একত্রিত” বলে মনে করেছে আদালত । দুই ধর্ষকের নাম মাজিন আল-শারশ(৩৬) এবং আকর বাজোরানি(৩২) । চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর স্টকহোম এবং মেরিহ্যামনের মধ্যে ২৪ ঘন্টার ক্রুজ জাহাজ চলাকালীন একজন সুইডিশ মহিলাকে গুরুতর ধর্ষণের জন্য যথাক্রমে ৬ বছর এবং ৫ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ।
আদালত দেখেছে যে এই দুই ইরাকি সাজা শুনানির সময় “বিশেষ বেপরোয়া এবং বর্বরতার সাথে আচরণ করেছিল”। পাবলিক প্রসিকিউটর তাদের সাজা ভোগ করার পর বিদেশী গণধর্ষকদের নির্বাসনের আদেশের জন্য চাপ দিয়েছিলেন, তবে আদালত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে যে আল-শারশ ২০১৮ সালে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিল,সে ২০২১ সালে সুইডিশ নাগরিকত্ব পায় । তাই তাকে নির্বাসন করা উপযুক্ত হবে না। তার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও, আল-শারশের বিচারের সময় তাকে সহায়তা করার জন্য একজন আরবি অনুবাদকের প্রয়োজন হয়ে ছিল।
অন্যদিকে বাজোরানি ২০০৮ সালে কিশোর বয়সে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিল কিন্তু সে এখনো সুইডিশ নাগরিক নয় । তবুও তাকে সুইডিশ সমাজে “একত্রিত” বলে মনে করা হয়েছিল কারণ তার দুটি সন্তান রয়েছে যারা সুইডিশ নাগরিক এবং তার তৃতীয় সন্তানের জন্ম হতে চলেছে । আকর বাজোরানি সুইডিশ ভাষায়ও দক্ষ । বাজোরানি সুইডিশ ভাষা শেখে এবং প্রধানত ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসাবে কাজ করে সংসার চালাত ।
রায়ের পর সামনিট নিউজ আউটলেটের সাথে কথা বলার সময়, পাবলিক প্রসিকিউটর এমা স্বেদবার্গ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই কারনে যে অপরাধের তীব্রতার তুলনায় আদালত খুব কম সাজা দিয়েছে দুই ধর্ষককে । তিনি বলেন,’আমি মনে করি এটা সন্তোষজনক যে দু’জন পুরুষই গুরুতর ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। অথচ জেলা আদালত আমার অনুরোধের চেয়ে কম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেছে তাদের । জেলা আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি যে আমি যাদের নির্বাসিত করার অনুরোধ করেছি তাকে নির্বাসিত করা উচিত ।’।