এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৮ ডিসেম্বর : কাতারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আট প্রাক্তন ভারতীয় নাবিককে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক । এর ফলে কাতারে উপস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা । কাতারের একটি আদালত গত ২৬ অক্টোবর ওই ৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় । বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন যে গত ৩ ডিসেম্বর কারাবন্দী নাবিকরা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন । বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রচেষ্টার কথাও সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে । তিনি বলেন,’দুবাই সিওপি ২৮ বৈঠকে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন । সেই সময় উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কাতারে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ।’
কাতারের ‘আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ (ADGTCS) নামে একটি প্রতিরক্ষা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিতে কর্মরত এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে । তাঁরা হলেন ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ প্রমুখ । তাঁরা নিগত ৫ বছর ধরে ওই সংস্থায় কাজ করছিলেন । সংস্থার মালিক অবসরপ্রাপ্ত ওমানি সামরিক কর্মকর্তা খামিস আল-আজমিকেও ভারতের ৮ নাগরিকের সঙ্গে গত বছর ৩০ আগস্ট ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল । কিন্তু ফিফা বিশ্বকাপের আগে তাকে ওই বছর নভেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয় ।
বিষয়টিকে অদ্ভুত আখ্যা দিয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে কাতারের হাইকোর্টে আপিল করেছে যাতে তাদের মেরিনদের মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও নাবিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবংনাবিকদের পক্ষে একটি আবেদন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক । এই আপিলগুলোর ওপর সম্প্রতি দুটি শুনানি হয়েছে ।
সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ওই নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন । তিনি পরিবারগুলিকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাদের কাতারের আদালতে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি আপিল দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে বিদেশ মন্ত্রক সহায়তা করতে পারে ।।