এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৪ ডিসেম্বর : ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড এবং ২৬/১১ মুম্বাই হামলার এর অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, লস্কর-ই-তৈবার(এলটি) সন্ত্রাসী সাজিদ মীরকে পাকিস্তানের সেন্ট্রাল জেল ডেরা গাজি খানের (Central Jail Dera Ghazi Khan) ভিতরে অজ্ঞাত ব্যক্তির দ্বারা খাবারে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে । কয়েক মাস আগেই তাকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ডেরা গাজি খানে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । ওই সন্ত্রাসবাদীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই দ্বারা এয়ারলিফট করে সিএমএইচ বাহাওয়ালপুরে(CMH Bahawalpur) নিয়ে যাওয়া হয়েছে । বর্তমানে সে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে।
জানা গেছে,২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সেন্ট্রাল জেল ডেরা গাজি খানের এক রাঁধুনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেছে । সন্ত্রাসী সাজিদ মীরের ব্যক্তিগত রাঁধুনি হিসাবে সে কাজ করছিল । পাকিস্তানি এজেন্সি তাকে ধরার চেষ্টা করছে।
লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসাবে মনোনীত করার জন্য গত জুন মাসে জাতিসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । কিন্তু চীনের বাধায় তা সম্ভব হয়নি । জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ আল কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটির অধীনে সাজিদ মীরকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত ও আমেরিকার উদ্যোগে জল ঢেলে দেয় চীন । জাতিসংঘে ওই প্রস্তাব গৃহীত হলে সাজিদ মীরের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার অধীনে আনা সম্ভব হত ।
উল্লেখ্য,মীর ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন এবং ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় তার ভূমিকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মাথায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার রেখেছে । কিন্তু ইসলামাবাদের বন্ধু বেইজিং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির অধীনে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য বারবার বাধার সৃষ্টি করে আসছে ।
গত জুন মাসে মীরকে পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে সন্ত্রাসে অর্থায়নের একটি মামলায় ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল । যদিও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অতীতে মীর মারা গেছেন বলে দাবি করেছিল, কিন্তু ভারত ও পশ্চিমা দেশগুলো পাকিস্তানের ওই দাবিকে বিশ্বাস করেনি । ওই সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর প্রমাণ দাবি করা হলেও এযাবৎ পাকিস্তান তা পেশ করতে পারেনি । গত বছরের শেষ দিকে এফএটিএ-এর মূল্যায়নে সন্ত্রাসী সাজিদ মীরের একটি প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় । মীর পাকিস্তান-ভিত্তিক এলইটি-এর একজন সিনিয়র সদস্য এবং ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকায় ভারত তাকে খুঁজছে । মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে,’মীর হামলার জন্য এলইটি-এর অপারেশন ম্যানেজার ছিল । সে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল ।’।