মাদ্রাসার ছাত্রকে ধর্ষণ ও হত্যার পর দেহ মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখল সমকামী পড়ুয়া

এইদিন ওয়েবডেস্ক,পটুয়াখালী,০৪ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের পটুয়াখালীর একটি মাদ্রাসায় চাঞ্চল্যকর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে । বছর আঠারোর এক সমকামী ছাত্রের লালসার শিকার হয়েছে ওই মাদ্রাসার ১১ বছরের এক ছাত্র । বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেজন্য ধর্ষক ওই পড়ুয়াকে খুন করে তার মৃতদেহটি মসজিদের সেফটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে রাখে । মৃত পড়ুয়ার নাম মোহম্মদ আতিকুর রহমান(১১) । সে পটুয়াখালীর বাউফলের ফজলুর রহমান রাহিমীয়া দারুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রসার ছাত্র ছিল। একই মাদ্রাসার ছাত্র মোহম্মদ ইসমাইলের (১৮) বিরুদ্ধে ওই কিশোরকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
এই ঘটনায় মৃত পড়ুয়ার মা মোসা হামিদা বেগম ইসমাইলের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে খুনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইসমাইলকে আটক করে জেরা করতেই সে খুনের কথা কবুল করে । এরপর শনিবার রাতে ঘাতক ইসমাইল নিজেই মৃত ছাত্রের লাশ শনাক্ত করে । রবিবার সকালে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,মৃত পড়ুয়া মোহম্মদ আতিকুর রহমানের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিরাইল গ্রামে । তার বাবা মোহম্মদ সরোয়ার সরদার পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। দুই ভাইবোনের মধ্যে আতিক বড় । সে বছর তিনেক আগে পটুয়াখালীর বাউফলের ফজলুর রহমান রাহিমীয়া দারুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া আবাসিক মাদ্রসায় ভর্তি হয় । মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল সে । অন্যদিকে ঘাতক ইসমাইল পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার মজিবর রহমান হাওলাদারের ছেলে । সমকামী মোহম্মদ ইসমাইল মাদ্রাসাতে প্রায়ই আতিকুরকে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ । আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোর ঘটনার কথা তার মা হামিদা বেগমকে জানিয়ে দেয় । হামিদা বেগম বিষয়টি মাদ্রাসার হুজুরকে জানিয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলন । আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে আতিককে হত্যার পরিকল্পনা করে ইসমাইল।
জানা গেছে,পুলিশের জেরায় ঘাতক যুবক কবুল করেছে যে শুক্রবার রাতে সে আতিকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর পাশের মসজিদের শৌচাগারের সেফটিক ট্যাঙ্কের ভিতর তার মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে । বাউফল থানার অফিসার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন,’ধৃত যুবক ও পুলিশের একটি দল নিয়ে আমি ঘটনাস্থালে গিয়ে আতিকের লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করি । এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।’।