জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমান,০২ ডিসেম্বর :
ঋতু বদলায়, আলু চাষের সময় গল্পটা বদলায় না। বাজারে রাসায়নিক সারের কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হবেই। প্রতিবছর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেও নীরব থাকে প্রশাসন। চাষ শেষ হওয়ার পর তাদের কর্ম তৎপরতা বেড়ে যায়। সিনেমার স্ক্রিপ্টেড গল্পের মত। এবারও অন্য কিছু ঘটলনা । যথারীতি একদল দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারিদের সাহায্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। এই অভিযোগ উঠল মেমারি-২ ব্লকের সোঁতলা সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে।
বিশ্বনাথ দাস, সুকুমার সাঁতরা, বিশ্বনাথ সাঁতরা সহ এলাকার বেশ কিছু কৃষকের দাবি ১৪৭০ টাকা সারের দামের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩৮০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পাকা বিলের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে সাদা কাগজের বিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমবায় সমিতির এক কর্মী জানান,সারের সাথে ট্যাগিং বাধ্যতামূলক হলেও কখনো কখনো ভিড়ের চাপে চাষীদের ট্যাগিং দিতে ভুল হয়ে যাচ্ছে। এটা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়ে তিনি নীরব থেকেছেন।
মেমারি-২ ব্লকের কৃষি-অধিকর্তা এবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,বললেন এই ধরনের অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই তারা কোথাও কোথাও সারপ্রাইজ ভিজিটও করছেন। এদিকে জানা যাচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সংবাদ মাধ্যম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেরদিন থেকেই অভিযুক্ত সমবায় সমিতি অতিরিক্ত চার্জের জন্য বিলের ব্যবস্থা করেছে।
তবে অভিযোগ শুধু মেমারিতে নয় কার্যত গোটা রাজ্য জুড়েই ধীরে ধীরে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে। চাষীদের দাবি,চাষ শেষ হওয়ার পর নয়, কালোবাজারি বন্ধ করার জন্য এখনই সরকারকে অর্থবহ ভূমিকা নিতে হবে। নাহলে বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটতে থাকবে। এখন দেখার চাষীদের স্বার্থে সরকার কী ধরনের ভূমিকা নেয়!