এইদিন ওয়েবডেস্ক,লোমে,০২ ডিসেম্বর : চলতি বছরে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোয়(Togo) । টোগো, বেনিন(Benin), ঘানা(Ghana) এবং আইভরি কোস্ট(Ivory Coast) – গিনি উপসাগরের (Gulf of Guinea) সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলি – নাইজার (Niger) এবং বুর্কিনা ফাসোর(Burkina Faso) সীমান্তের ওপার থেকে জিহাদি হামলার কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৷
টোগোলের (Togolese) যোগাযোগ মন্ত্রী ইয়াওয়া কুইগান সোমবার রাতে রাষ্ট্র পরিচালিত টিভিটিকে বলেছেন যে “সন্ত্রাসী” ঘটনার পরে ৩১ জন নিহত, ২৯ জন আহত এবং আরও ৩ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । তিনি বলেছেন,’আমাদের দেশে একটি অতর্কিত হামলা, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে ১১ টি সংঘর্ষ, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস থেকে নয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে ৷ এছাড়া ২০ টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে । কুইগান বলেন,’টোগোর প্রথম “সন্ত্রাসী” হামলাটি ২০২১ সালের নভেম্বরে কেপেন্ডজালের প্রিফেকচারের সানলোগায় হয়েছিল এবং বুর্কিনা ফাসো সীমান্তের কাছে সাভানা অঞ্চলে বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী এই ঘটনা ঘটিয়েছিল ।’
প্রসঙ্গত,বেনিন, টোগো এবং ঘানার উত্তর সীমান্ত অঞ্চলগুলি সাহেলে পরিচালিত ইসলামি জিহাদি গোষ্ঠীগুলির আক্রমণের ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং ক্রমশ তারা দক্ষিণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । সাহেল থেকে ফ্রান্সের সামরিক প্রত্যাহার গিনি উপসাগরীয় রাজ্যগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে । বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে অভ্যুত্থানের কারনে আরও অস্থিরতার দিকে পরিচালিত করেছে কারণ এই দেশগুলি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এবং আল- কায়েদার সাথে যুক্ত জিহাদিদের সাথে যুদ্ধ করছে । এখনো পর্যন্ত, টোগোলিজ সরকার খুব কমই দেশের উত্তরে নিরাপত্তার বিষয়ে যোগাযোগ করেছে।
গত এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি ফাউরে গনাসিংবে বলেছিলেন যে জিহাদিরা ২০২১ সালের শেষের দিকে তাদের প্রথম আক্রমণ থেকে প্রায় একশত বেসামরিক নাগরিক সহ প্রায় ১৪০ জনকে হত্যা করেছে ।
টোগো সেই সময় বলেছিল যে “সীমান্ত আরও ভালভাবে রক্ষা করার” জন্য সরকার প্রায় ১২,০০০ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিয়েছে । এই অঞ্চলে আগত বুরকিনা ফাসো থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদেরও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে । তবে টোগোর নেতারা বলেছেন যে উত্তরে জিহাদি যুদ্ধে নিহত প্রায় ১০০ জন বেসামরিক লোক টোগোলিজ নাগরিক নয় । ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা টোগোর পরবর্তী আইনসভা এবং আঞ্চলিক নির্বাচনে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ প্রধান ইস্যু হতে চলেছে।।