এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৭ মে : কলেজ ছাত্রী মেয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । নিয়মিত রক্ত দিতে হয় তাঁকে । এদিকে ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত নেই । তাই রক্তদানের আবেদন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন আকুল মা । সেই পোস্ট নজরে পড়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা তপতী গুহ নামে এক গৃহবধূর । শেষ পর্যন্ত তিনি রক্ত দিয়ে বৃষ্টি মাঝি নামে ওই ছাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন । সোমবার “রেয়ার ব্লাড গ্রুপ” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যস্থতায় বৃষ্টিকে রক্তদান করেন তপতীদেবী ।
জানা গেছে,কাটোয়া শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের আতুহাটপাড়ার বাসিন্দা পেশায় রঙমিস্ত্রি কার্তিক মাজির দুই মেয়ের মধ্যে বড় বৃষ্টি । বৃষ্টি কাটোয়া কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত । তাঁকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয় । কিন্তু ওই ছাত্রীর রক্ত এবি নেগেটিভ গ্রুপের হওয়ায় রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় বৃষ্টির বাবা-মাকে । কারন এবি নেগেটিভ গ্রুপের মানুষের মানুষের সংখ্যা এলাকায় খুবই কম আছে । তাই এই গ্রুপের রক্ত সাধারনত ব্লাডব্যাঙ্কে মজুত থাকে না বললেই চলে । এদিকে ভোট ও ভোট পরবর্তী সময়ে করোনা পরিস্থিতির কারনে ব্লাড ব্যাঙ্কে সব গ্রুপের রক্তের আকাল চলছে । তাই বেশ কিছু দিন ধরে কাটোয়া হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাঙ্কে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছিল ছাত্রীর মা-বাবাকে।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে, এদিকে রক্ত না দেওয়ায় ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল বৃষ্টি মাঝি । শেষে ফেসবুকের আশ্রয় নেন বৃষ্টির মা শিখাদেবী । রক্ত দিয়ে মেয়েকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন । ওই পোষ্ট নজরে পড়তেই রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন কাটোয়ার গৃহবধূ তপতী গুহ । এদিন কাটোয়া হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাঙ্কে এসে রক্ত দেন তিনি । শেষ পর্যন্ত তাঁর দেওয়া রক্ততেই প্রাণ বাঁচে ওই ছাত্রীর । তপতীদেবীর এই মানসিকতার প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা । তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ছাত্রীটির পরিবারের লোকজন ।।