এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,০১ ডিসেম্বর : চীনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠেছে ভারত । সীমিত আয়তন ও সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের কারনে, এবারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর লাগাম টানার দাবি উঠছে । শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের দাবি যে অবিলম্বে দেশজুড়ে জনসংখ্যা রোধ আইন লাগু করা হোক । আইনভঙ্গকারীদের সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ করার পাশাপাশি নাগরিত্ব কেড়ে নেওয়ার পর্যন্ত দাবি তুলছেন তারা । অথচ মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ আজও নিজেদের বংশবৃদ্ধির পরিকল্পনায় অনড় । রাজস্থানের (Rajasthan) পোখরানের (Pokharan) একম একটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে দম্পতি পিছু ১৬ থেকে ১৮ টা করে সন্তান রয়েছে । প্রতি বছর গ্রামে ১,০০০ জন করে ভোটার বাড়ে । এনিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জনৈক এক সাংবাদিক দুই বৃদ্ধকে প্রশ্ন করলে তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কি করব হয়ে যাচ্ছে’ । অন্যজন বৃদ্ধ হেসে হেসে প্রশ্ন করেন,’আমরা সন্তানের জন্ম না দিলে ভারত জগৎগুরু কি করে হবে ?’
সাংবাদিক অশ্বিনী সহায়ের শেয়ার করা চ্যানেলের ভিডিওতে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এক বৃদ্ধ বলেন,’আমাদের গ্রামে প্রতিবছর ১০০০-২০০০ ভোটার বাড়ে ।’ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন কেন এমন হয়? উত্তরে বৃদ্ধ বলেন, ‘বাচ্ছা হয়ে যায় এমনি ।’
অন্য বৃদ্ধের যুক্তি,’যত ভোট বাড়বে,আমাদের দেশের ক্ষমতা বাড়বে । দেশ বিশ্বগুরু হবে । মুখে বললেই কি বিশ্বগুরু হবে নাকি? আমাদেরও কিছু করতে হবে ।’
সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন যে জনসংখ্যা বাড়লে খাবার কোথা থেকে আসবে? উত্তরে বৃদ্ধ বলেন, ‘আপনি দিনে কত বার করে খাবার খান ? এই গ্রামের লোকেরা দিনে তিনবার করে খায় । আর কি খায় জানেন ? তিনটে করে রুটি, ঘি, রাবড়ি সব ক্ষমতা বাড়ানোর মত খাবার খায় ।’ বৃদ্ধ আরও বলেন, ‘আপনারা হয়ত ভাববেন দাড়ি,টুপি পরা লোকেদের বাচ্ছা পয়দা করাই কাজ । এটা ঠিক নয়, যদি কেউ এত বাচ্ছা পয়দা করছে তো সে নিজের ক্ষমতায় করছে । সরকার সুবিধা দিক আর না দিক, তারা তো আর সরকারের কাছে আর চাইতে যাচ্ছে না,ওর নিজের মালিকের উপর ভরসা আছে, পরিশ্রমী ব্যক্তি।’
ভিডিওটির সাথে সাংবাদিক অশ্বিনী সহায় লিখেছেন, ‘মুসলমানদের ১৬-১৮ সন্তান আছে ; আমরা বছরে অন্তত ১,০০০ ভোট বাড়াই। রাজস্থানের পোখরানের মুসলিম পুরুষরা বলছেন।
আর এটা শুধু রাজস্থানের পোখরানের গল্প নয়; এটি সমগ্র দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি জেলা, শহর এবং গ্রামের গল্প।কয়েক মাস আগে, আমি আমার শহরের মোহাম্মদ আবদুস গাফফারের গল্প শেয়ার করেছি, যার ২৫ টি সন্তান রয়েছে এবং মোহাম্মদ আলা মিয়াঁ, যার ১৩+৩ সন্তান রয়েছে। শেয়ার করার পর, কিছু মৌলবাদী আমাকে অনলাইনে আক্রমণ করতে শুরু করে ।’।