এইদিন ওয়েবডেস্ক,খাইবার পাখতুনখোয়া,৩০ নভেম্বর : সোশ্যাল মিডিয়ায় নাচের ভিডিও পোস্ট করায় কট্টরপন্থী বাবা ও কাকার হাতে খুন হল মুসলিম কিশোরী । ঘটনাটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রদেশের কালোই-পালাস জেলার একটি গ্রামে । জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কালোই-পালাস জেলার বারশিয়াল গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী ও তার দুই বান্ধবী একটি নাচের ভিডিও বুধবার (২২ নভেম্বর ২০২৩) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল । এই ঘটনার জেরে বারশিয়াল গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানরা কিশোরীর বিরুদ্ধে জিরগা নামক পরিষদে বিচার সভা বসায় । পরে পঞ্চায়েতের নির্দেশ মত কিশোরীকে তার বাবা ও কাকা মিলে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করে ।
জানা গেছে,ভিডিওতে উপস্থিত আরেকটি মেয়েও জিরগা থেকে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিল, কিন্তু পুলিশ তাকে ভয়ানক পরিণতি থেকে বাঁচাতে ঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করেছিল । কেপি জেলার পুলিশ অফিসার মুখতিয়ার তানোলি জানান,ভিডিওতে থাকা অপর মেয়েটি নিরাপদ আছে এবং তার জীবনের কোনো ঝুঁকি নেই । এ ঘটনায় পালাস থানার স্টেশন হাউস অফিসার পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩০২/৩১১ এবং ১০৯ ধারায় খুনের মামলা করেছে। ইতিমধ্যে একজন ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে ।
প্রসঙ্গত,সন্ত্রাসবাদের জনক পাকিস্তানে অলিখিত শরিয়া শাসন চলে । তার জেরে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের জীবন কার্যত নরকে পরিনত হয়েছে । প্রায় প্রতিদিনই হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অল্প বয়সী মেয়েদের অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করার পর দ্বিগুন বা তিনগুণ বয়সী মুসলিম পুরুষের সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । সুরক্ষিত নেই মুসলিম পরিবারের মেয়েরাও । খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রদেশের ওই ঘটনার আগে ২০১১ সালে পারিবারিক অনুষ্ঠানে নাচার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ মহিলা ও এক পুরুষকে হত্যা করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। পরে নিহতের পরিবার এনিয়ে প্রতিবাদ করলে মৃত পুরুষের তিন ভাইকেও খুন করা হয় ।।