এইদিন ওয়েবডেস্ক,করনদিঘি(উত্তর দিনাজপুর),৩০ নভেম্বর : কংগ্রেস,বামপন্থী, তৃণমূলসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির বিরোধিতার পরেও বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ বুধবার কলকাতার ধর্মতলার জনসভায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে দেশ জুড়ে সিএএ লাগু হবেই । এদিকে কেন্দ্র সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সিএএ নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা দিয়ে দেদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ছে ভারতে । উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘিতে নাগর নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল এক বাংলাদেশী কিশোর । বিএসএফ জানতে পেরেছে যে আলামিন (১৪) নামে ওই কিশোরের বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানা এলাকায় । পাশাপাশি খুরকা এলাকা থেকে হায়াত আলী নামে এক গাড়ি চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পরে তাদের করণদিঘি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
এর আগে দীপাবলির সময় বসিরহাটের চিন্তা তারালি এবং হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল ৩ মহিলা-সহ মোট ৯ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী । বিএসএফ জানতে পারে যে তারা অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে এক দালাল মারফত ভারতের প্রবেশ করেছিলেন । এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে ৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় জাল পরিচয়পত্র । পরিচয়পত্রে ঠিকানা হিসেবে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি এলাকার কথা উল্লেখ করা ছিল । অনুপ্রবেশকারীদের জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে মেঘালয় সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে তারা আগরতলায় প্রবেশ করেছিল। সেখান থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ওঠে। এরপর তারা নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নামে। সেখান থেকে চলে যায় আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরাতে বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে । তাদের খুব অল্প সংখ্যক ধরা পড়ছে,বৃহত্তর অংশ গাঢাকা দিয়ে দিচ্ছে । অনুপ্রবেশ কারীদের কাছে থেকে মিলেছে এদেশের জাল আধার কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র।
কিছুদিন আগেই ত্রিপুরায় অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। সূত্রের খবর ব্যাঙ্গালুরু, পুনে, দিল্লি এলাকায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির কাছে পাওয়া গিয়েছে জাল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং অন্যান্য নথি। দালালদের মাধ্যমে তারা সেগুলি পেয়েছে বলে জানার পরেই অভিযান চালানো হয়। এরই পাশাপাশি দালালদের ধরতে সীমান্ত এলাকার গ্রামে অভিযান চালায় ত্রিপুরার পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে,আধার কার্ড তৈরির জন্য যে শিবির করা হয়েছে তার সুযোগ নিয়েছে দালালরা। এই জাল আধার কার্ড করা দেওয়ার জন্য দালালরা ৭-২০ হাজার টাকা নেয় বলেও জানা গিয়েছে । দাবি উঠছে যে অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগী এবং জাল নথি তৈরি করে দেওয়ায় কাজে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে মামলা রজু করা হোক ।।