জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),২৯ নভেম্বর : আনন্দের উৎসব কাটিয়ে ধীরে ধীরে চেনা ছন্দোময় জীবনে ফিরছে বাঙালি। উৎসবের আবহে রাজ্যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন অন্য সময়ের তুলনায় কম হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে দেখা যাচ্ছে রক্তের সংকট। সংকটের মোকাবিলায় ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হচ্ছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের।
গুসকরা শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর সহযোগিতায় আজ বুধবার বিদ্যাসাগর হলে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বাসের মধ্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় শিবির থেকে মোট ৬১ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন মহিলা। ২৮ জন এই প্রথমবার রক্তদান করে। ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার জন্য অনেকেই রক্তদান করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভানেত্রী মল্লিকা চোংদার, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ আগরওয়াল, গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি শিশির কুমার ঘোষ ও স্বেচ্ছাসেবকরা, অধ্যাপক সমীরণ রায়, গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও যুব সভাপতি কার্ত্তিক পাঁজা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা, পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্য সৌগত গুপ্ত এবং গুসকরা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম ও চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ শহরের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
এর আগে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য প্রত্যেক বক্তা উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উৎসাহ দেওয়ার জন্য রক্তদাতাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।
কুশলবাবু বললেন,বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করতে পারলেও রক্তের বিকল্প আবিস্কার করতে পারেনি। রক্তের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মানুষকেই রক্ত দিতে এগিয়ে আসতে হয়। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। রক্তদান করতে এসেও যারা রক্ত দিতে পারেননি তাদের প্রতি তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানান।।