বকের পালক ঝরে আছে
ধান কাটা বাউলের ভাঙা পাটাতনে
ভুল বুঝে বোস্টমী খঞ্জনি নিয়ে
চলে গ্যাছে সোনালী মাছের এক ডুবো পাখনায়
শিশিরের শ্বাসমূলে দীর্ঘশ্বাস এক পুরাতন প্রেম
শ্রী খোলের এক ঘেঁয়ে বোল হয়ে বাজে
শীতের কুয়াশা ভেজা কীর্তন গানে।
আত্মীয় চিতায় পুড়ে যায়!
যাদের কে সমাজ বলে জানি শৈশব থেকে
একে একে চলে যায় মৃত্যুর দেশে।
কিশোর যুবক হয়, যুবতীরা দৃষ্টি হারিয়ে শেষে ভাঙা হাটে যায়
ঝিম মারা আকাশের গায়ে তারা ফোটে
শ্বেত পদ্মের গায়ে প্রজন্মের বনবাস নিয়ে পদ্যের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় কবিদের-
বাবা কে খুঁজতে যাই কাস্তের গায়ে লেগে থাকা ধানের রক্ত ভেজা বিষন্ন মনে
কখনো বা শীরিষ গাছের বনে থেমে থাকা ঠাকুমার বিগত যৌবনে।
কথা দিয়ে কথা রাখা যায় কি প্রিয়ে?
দ্রৌপদীর খোলা চুলে রক্তের দাগ
ম্লান হয়ে যায় যুদ্ধ প্রাঙ্গণে
কেশবের কূটনীতী শুধু বেঁচেথাকা রাজনীতি এটা মানি
রাধার রমন ধ্বনি বেদনার উষ্ণ প্রস্রবণ
বহুদূর বহুকাল আগেকার ছাই হয়ে যাওয়া কুঞ্জবনে।।