দীপাঞ্জন, তুমি কি বলতে পারবে
সুখ থৈ থৈ মোর উঠানে কেন সূর্য্য হাসেনা
তারাদের উদভ্রান্ত ছোটাছুটি
বুটের খটমট আওয়াজ নিদ্রাহীন রাত আর আমি
আশ্চর্য তারারা রাত জাগে আজও
যেমনটি জাগতো আগেও শুধু আমি ভীষন চঞ্চলমনা
জ্যোতিষ্কের জাগা চাঁদ পিরীতি সুহাগ রাত
আমি রাতভর আনমনা শুধুই আনমনা।
রাত বারে জুতো পরা পায়ের খটমট আওয়াজও ভীষন রকম বারে
কি করে ওরা এতো রাতে?
কৌতূহল চেপে বুঝতে চেষ্টা করি
এরাই হয়তো টাকা দিলে বাচ্ছার খাবার আনবে মা টা
‘বাবা গিয়েছিল খাবার আনতে পারেনি
বিষ এনেছিল, ওই যে রেসপনসিবিলিটি ‘
মা দিতে পারেনি শিশুটির গলায়
নিজে ঢেলেছিল, নীল হয়ে ছেড়েছিল নীলগ্রহ,
হাতে ধরা
মৃত্যু পরোয়ানা
দুঃখের উঠান দিয়ে চলল শেষ যাত্রার ডোলি, চলল সে চলল
কিন্তু শিশুটিকে কার কাছে দিয়ে গেল, দীপাঞ্জন?
সে তো বড় অসহায়, তার হাহাকার আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করছে
ঢুকছে কি কারো কর্ণকুহরে
না দীপাঞ্জন, ঢুকবে না আমরা অন্ধ আমরা বধির
আমরা ধৃতরাষ্ট্রের নীতি পালন করে চলেছি
আমরা প্রাণহীন রোবট আমরা স্থবির
আমাদের আরো আরো আরো চাই প্রাণ
“মোরে আরো আরো দাও প্রাণ”
যে প্রাণের জোয়ারে ভেসে যাবে গ্লানি
না পাওয়া কেড়ে নিতে পারবেনা একটিও প্রাণ
দীপাঞ্জন, চলো আমরা সেই ভূমি খুঁজি
থাকবে যৌথ খামার, থাকবেনা ব্যাক্তিগত পুঁজি।।