এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৫ মে : ‘গ্রুপবাজি’ নয়, বরঞ্চ এক হয়ে কাজ করতে হতে । তাতে নাগরিকরা যথাযথ পরিষেবা পাবে । দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মাংগোবিন্দ অধিকারী । শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে তৃণমূল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা, প্রাণীসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল । ভাতার বাজারের কাছে একটি লজে এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে করোনাবিধি মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় মানগোবিন্দবাবুকে ।
বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য মহেন্দ্র হাজরা, আয়োজক সংগঠনের রাজ্যকমিটির কার্যকরী সভাপতি আবুল হায়াত, সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি অনন্ত কুমার সাহা প্রমুখ । ওই সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী সাফ জানিয়ে দেন ‘সংগঠন করতে গিয়ে কোনও ‘গ্রুপবাজি’ চলবে না ।’ বিধায়কের এহেন বার্তায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান সংগঠনের কর্মকর্তারা । তবে তাঁরা বিধায়কককে আস্বস্ত করে জানান সরকারি পরিসেবামূলক কাজে সকলেই মিলেমিশে কাজ করবেন ।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ভাতার ব্লক এলাকায় প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা মিলে ৭২ জন কর্মী রয়েছেন ।যারা পঞ্চায়েত স্তরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গৃহপালিত পশুদের চিকিৎসা পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত।এদিন দেখা যায় ওই কর্মচারীদের মধ্যে কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন।বিধায়ক জানতে পারেন নিজেদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্যের জেরে একাংশ অনুষ্ঠানে আসেননি । একথা শোনার পর মানগোবিন্দবাবু সম্বর্ধনা সভায় বলেন,” এলাকায় কোনও গোষ্ঠী করা চলবে না । নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু মিটিয়ে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তা না হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ঠিকমতো পরিসেবা পাবেন না । গঠনমূলক কাজে সমন্বয় করে চলাই আসল।’
প্রসঙ্গত,ভোটে জেতার পরেই এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজকর্মে গতি আনার কথা বলেছিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী । কাজের মানুষ হিসাবে পরিচিত তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতার উপর এলাকার মানুষের যথেষ্ট আস্থাও আছে । এখন নিজের কার্যকালের মধ্যে এলাকার মানুষের তিনি কতটা আশাপূরণ করতে পারেন সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী ।।