এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১৫ মে : করোনার কারনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা সতীপীঠের দেবীমূর্তির দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হল পূর্ন্যার্থীদের । সারা বছরের মধ্যে বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথি,আষাঢ় নবমী, বিজয়াদশমী,১৫ পৌষ ও মাঘ মাসের মাকড়ি সপ্তমী তিথি,এই পাঁচবার ধুমধাম করে পূজো হয় ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা সতীপীঠে । পূজো উপলক্ষে লক্ষাধিক পূন্যার্থীর সমাগম হয় । মেলা বসে । ভোগের আয়োজন করা হয় । কিন্তু এবারে করোনা আবহের কারনে নামেমাত্র সারা হল বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথির পূজো । প্রথা অনুযায়ী পূজার্চ্চনা জন্য শুক্রবার গভীর রাতে আধঘন্টার জন্য দেবীমূর্তিকে ক্ষীরদিঘির জল থেকে তোলা হয়েছিল । । পূজো পর্ব শেষ হতেই ফের ক্ষীরদিঘির জলের তলায় নির্দিষ্ট মন্দিরে রেখে দেওয়া হল দেবীর প্রস্তর মূর্তি । ফলে এবারে দেবীর দর্শন পেলেন পূন্যার্থীরা । এমনকি এবারে করোনার কারনে মেলা বসেনি ও ভোগেরও আয়োজন করেনি মন্দির কর্তৃপক্ষ ।
সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা। এখানে সতীর ডাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুল পতিত হয়েছিল বলে কথিত আছে । দেবী মূর্তি কষ্ঠিপাথরের তৈরি । মূল মন্দিরের কিছুটা পাশেই রয়েছে ক্ষীরদিঘি । সারা বছর ওই দিঘির জলের তলায় থাকে দেবীমূর্তি । প্রতি বছর ৫ বার ধুমধাম করে দেবীর পূজো করা হয় । তখন পূজোর জন্য একদিনের জন্য ক্ষীরদিঘির জল থেকে দেবীকে তুলে মূল মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় । বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথিতে দেবীর পূজো ঘিরে ধুমধাম সব থেকে বেশি হয় । প্রচুর ভক্তের আগমন হয় ক্ষীরগ্রামে । কিন্তু এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে যাবতীয় অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ।
তবে প্রথা অনুযায়ী দেবীর পূজোর নামেমাত্র আয়োজন করা হয়েছিল । পূজোর জন্য ক্ষীরদিঘির পাশে ছোট একটি মণ্ডপ বাঁধা হয়েছিল । শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ ক্ষীরদিঘির জল থেকে আধঘন্টার জন্য দেবীমূর্তিকে তুলে ওই মন্ডপে রাখা হয় । সেখানে পুজো সেরেই দেবীকে ফের জলের তলায় মন্দিরের মধ্যে স্থাপন করে দেওয়া হয় ।
আর মধ্যরাতের এই পুজোর জন্য পুরোহিত ও সেবাইতসহ মোট ১৭ জনের প্রবেশের জন্য প্রশাসন অনুমতি দিয়েছিল বলে জানা গেছে ।।