তুমি ‘বনলতা সেন’ পড়লে
অথচ শ্রাবস্তীর দিগন্ত রেখা মনে ভাসাতে পারলে না….
জীবনানন্দ পড়লে একটু মনোযোগ দিও
অনেক কিছু তাঁর লেখায় আছে
খুঁজে পড়ো….!
বাচন ভঙ্গীতে এত নাটকীয়তা কেন!
কেন ভেতর থেকে বাহিরকে এতো গুরুত্ব…
তুমিতো আছোই তোমাতে…
আসলে কি জানো,
তোমার ছটক চোখে লেগে গেলে
কানে যে শব্দ প্রবেশ করতে চাইবে না….!
তুমি যা দিতে পারো, যেটা তোমার পক্ষে সহজতর,
তা তোমার নাটকীয়তায় পাথুরে কঠিন হয়ে যায়…
তুমি একদিন রবিঠাকুরের লেখা “প্রশ্ন” পড়েছিলে
মনে আছে আমার,
আমি কানে অন্য কোনো শব্দ প্রবেশ করাতে পারিনি সেদিন…
সেদিন থেকেইতো তোমাকে চিনি আমি…
আমি মানতে পারিনা তুমি মেকি বাচিক শিল্পীর মতন হবে….
সব মানুষ চতুরতায় ভোলে না গো…
কিছু মানুষ বাচিকে বিশ্বাস রাখে এখনো…
এই ধরনা, কোনো কবি সমাজের নগ্নতা কতটা নির্মম শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বোঝাতে চেয়েছে…
আর বাচিক শিল্পী সেই নগ্নতার ছেঁড়াখোঁড়া
জায়গাটায়
এক টুকরো কাপড় চাপাতে পারলো না…
তাহলে!!!
বিবেকের জাগরণ কিভাবে হবে!!