দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২১ নভেম্বর : ফের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চুড়ান্ত গাফেলতি লক্ষ্য করা গেল । হাসপাতালে ভবন নির্মাণের কাজ করা জন্য খোঁড়াখুঁড়ির সময় একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে যায় । কয়েক মাস ধরে খুঁটির বিদ্যুৎবাহী তার মাটিতেই পড়েছিল । আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই তারের সংস্পর্শে এসে প্রাণ গেল দুটি গাভির । তার মধ্যে একটি গাভি ছিল অন্তঃসত্ত্বা । তবে গাভি দুটিকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেও বরাত জোরে প্রাণ বেঁচে যায় বিশ্বজিৎ বাগ নামে গরু চড়াতে আসা এক কিশোর । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফেলতির কারনেই দুই গাভির বেঘোরে প্রাণ গেল এবং অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যায় ওই কিশোর । এনিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,ভাতার হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুলনগরে বাড়ি বিশ্বজিতের । এদিন সে পরিবারের তিনটি গাভি নিয়ে হাসপাতালের পাশের মাঠে চড়াতে আসে । কিন্তু হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ভাঙা থাকায় গরুগুলি হাসপাতালের ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়ে ঘাস খাচ্ছিল । আর সেখানেই পড়ে ছিল বিদ্যুৎবাহী তার । দুটি গরু সেই তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উলটে পড়ে যায় । তাদের বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে বিশ্বজিৎ । পরে ওই কিশোরের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন ।
জানা গেছে,এই ঘটনার পর বিশ্বজিতের বাবা পেশায় গোপালক ভণ্ডুল বাগ ভাতার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ভাতার প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগকে খবর দেয় । এরপর দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা গাভীদুটির ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন । কিন্তু হাসপাতালের জায়গায় ঘটনাটি ঘটায় প্রথমে তারা ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেন । এনিয়ে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে । পরে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে গাভি দুটি উদ্ধার করা হয় ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,মাসের পর মাস ধরে হাসপাতাল চত্বরে বিদ্যুৎবাহী তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মেরামতির কোনো উদ্যোগই নেয়নি,ফলে যেকোনো সময় মানুষের প্রাণহানি হতে পারত । এনিয়ে তারা বিএমওএইচের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।।