এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২০ নভেম্বর : ইসরায়েলের কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রয়েছে হাজার হাজার হামাস জঙ্গি । আর তাদের মুক্ত করতে ইসরায়েলি মহিলা ও শিশুদের অপহরণ করে ব্লাকমেলিং করে হামাস । এবারে কারাগারে বন্দি হামাস জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড দিতে নতুন খসড়া আইন করল ইসরায়েল । আজ সোমবার (২০ নভেম্বর ২০২৩) ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে এটি নিয়ে প্রথমবারের মতো আলোচনা হয় । শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বিন গভির। ইতামার বিন গভির জানান,বন্দী হামাস জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে নতুন খসড়া আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সেটি পাঠ করা হবে। আইনটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি এই বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের সমর্থন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত,ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল করা ১৯৫৪ সালে । এর পরিবর্তে তারা দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডের আইন চালু করা হয় । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলের একটি মহল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি তোলেন । কিন্তু নেসেট মঞ্জুর না করায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের পাশবিক নৃশংসতা দেখে ফের মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার জোরালো দাবি ওঠে ।
তার আগে গত মার্চে নেসেটে একটি একটি খসড়া আইন অনুমোদন করা হয়। ইতামার বেন গভিরের নেতৃত্বাধীন ওটজমা ইহুদিত পার্টি খসড়া আইনটি জমা দিয়েছিল। ওই খসড়ায় ইসরাইলিদের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হামাস সমর্থক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও খসড়া আইনটি সমর্থন করেন ।
ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী খসড়া আইন কার্যকর হওয়ার জন্য নেসেটে তিনবার রিডিং পাস করতে হয়। আজ সোমবার আইনটি প্রথম পাঠের জন্য পার্লামেন্টে উঠেছে।
ফিলিস্তিনের দাবি,ইসরায়েলের কারাগারে মহিলা ও শিশুসহ ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদে কারাগারে থাকতে থাকতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে । গত ৭ অক্টোবর অপহরণ করা দুই শতাধিক ইসরায়েলিদের বিনিময়ে কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করতে রীতিমতো ব্লাকমেলিং শুরু করেছে সন্ত্রাসী হামাস । তাই আর বিলম্ব না করে হামাসের ব্লাকমেলিং এড়াতে বন্দি সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলাতে চাইছে ইসরায়েল ।।