এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২০ নভেম্বর : ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা আহমেদ বাহর এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের মহাসচিব খালেদ আবু হিলাল আইডিএফ গাজা বিমান হামলায় খতম হয়েছেন । বাহর প্রত্যেক আমেরিকান এবং ইহুদিকে হত্যার জন্য প্রার্থনা করে বলেছিলে,’হে আল্লাহ,প্রত্যেক ইহুদি ও আমেরিকানদের মেরে ফেলুন ।’ আবু হিলাল ‘প্রত্যেক কাফের জায়োনিস্টকে টার্গেট করার জন্য’ বিদেশে ফিলিস্তিনিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন । কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় খতম হয়েছেন হামাস কর্মকর্তা আহমদ বাহর(৭৬) । তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের প্রাক্তন ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহাসচিব খালেদ আবু হিলালও আইডিএফের পৃথকভাবে একটি হামলায় খতম হবলে জানা গেছে।
হামাস আইএসআইএস (HamasIsis) নামে এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী ওই দুই হামাস শীর্ষ কর্তার মৃত্যুর খবর দিয়ে লিখেছেন,’ঘৃণ্য হামাস-ধর্ষক শীর্ষ কর্মকর্তা আহমেদ বাহর প্রার্থনা করতেন-‘হে আল্লাহ, সমস্ত ইহুদি এবং সমস্ত আমেরিকানকে হত্যা করুন।’ গতকাল আইডিএফ সৈন্যরা তাকে জিহাদি- জাহান্নামে পাঠিয়েছে, এখন সে তার ৭২ জন হুরের সাথে একসাথে প্রার্থনা করতে পারে।’
মেমরি টিভি বাহরের বিবৃতিগুলির অসংখ্য ক্লিপ অনুবাদ করেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি রয়েছে যেখানে তিনি জিহাদ ও শাহাদাতের প্রশংসা করেছেন, ফিলিস্তিনি ‘শহীদ’দের প্রশংসা করেছেন এবং আমেরিকান ও ইহুদিদের ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
মেমরি টিভি খালেদ আবু হিলালের ক্লিপগুলিও অনুবাদ করেছে যেগুলিতে সে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি ব্যক্তি এবং দূতাবাসের উপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে এবং সংসদ সদস্য, মহিলা এবং শিশু সহ শহীদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের প্রশংসা করেছে । জাতিসংঘের নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণের কমিটি (CEDAW) চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন আহমদ বাহর । চলতি বছরের ৩০ আগস্ট গাজায় আয়োজিত ‘মুসলিম পরিবারকে ধ্বংস করার গ্লোবাল প্লট’ বিষয়ক এক সম্মেলনে হামাস এমপি আহমদ বাহর বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের সিইডিএডবলু চুক্তিটি মন্দ, আরব, মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করতে চায় । এই চুক্তি একটি “দুষ্ট কাজ” যা নারীর মুক্তি, সামাজিক স্বাধীনতা এবং ‘ধ্বংসের অন্যান্য হাতিয়ার’-এর মতো স্লোগানের আড়ালে আরব এবং মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করতে চায় ।
আহমেদ বাহর বলেছিলেন,’আমরা সিইডিএডবলু কে একটি খারাপ কাজ হিসাবে দেখি । এটি আরব ও মুসলিম সমাজ এবং তাদের মধ্যেকার পরিবারের কাঠামোকে ধ্বংস করার একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা হিসাবে, নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা, নারীর মুক্তি, পুনরুদ্ধারের বিষয়ে চকচকে স্লোগানের আড়ালে এটি আনা হয়েছে । নারীর অধিকার, সামাজিক স্বাধীনতা ছড়িয়ে দেওয়া হল ধ্বংসের অন্যান্য হাতিয়ায়ের মতই ।’
হামাস পার্লামেন্টের স্পিকার আহমাদ বাহর ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারী বলেছিলেন, ট্রাম্প বা নেতানিয়াহু সহ যে কাউকে তাদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা করবে হামাস তাদের জীবন নেবে । তিনি আরও বলেছিলেন,’কোরানে বলা হয়েছে তাদের সাথে যুদ্ধ করুন। আল্লাহ তাদের আপনার হাত দিয়েই শাস্তি দেবেন… যেখানেই তাদের পাবেন তাদের হত্যা করুন এবং তারা আপনাকে যেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দিন ।’।