এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৯ নভেম্বর : মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারন ব্যাখ্যা করে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন পাকিস্তানি বংশভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইমতিয়াজ মেহমুদ (Imtiaz Mahmood) । এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী পাকিস্তানি বক্সার ইমতিয়াজ মেহমুদ ইসলামি কট্টরপন্থার ঘোর বিরোধী । প্রায়ই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ ও কট্টপন্থার খোলাখুলি সমালোচনা করতে দেখা ওই মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীকে । এই প্রকার চাঁচাছোলা সমালোচনার কারনে পাকিস্তানি মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়ে যান তিনি । শেষ পর্যন্ত তিনি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন । ফের একবার ইসলাম সম্পর্কে খোলাখুলি মতামত প্রকাশ করতে দেখা গেল ইমতিয়াজ মেহমুদকে । শনিবার(১৮ নভেম্বর ২০২৩) নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে তিনি ইসলামের সবচেয়ে দ্রুত বংশবৃদ্ধিকারী ধর্ম হওয়ার কারন হিসাবে বলেছেন যে মুসলিম মহিলাদের একমাত্র কাজ হল বাড়িতে থেকে বাচ্ছা পয়দা করা । শুধু তাইই নয়, তিনি আরও দাবি করেছেন যে গাজার মুসলিম মহিলাদের ছেলেদের হামাসের মানব ঢাল হিসাবে মৃত্যু হলে মৃতসের মাকে এককালীন টাকা ও আজীবন মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করে ফিলিস্থিনি কর্তৃপক্ষ ।
ওই পোস্টে ইমতিয়াজ মেহমুদ লিখেছেন :-
১০ টি কারণের জন্য ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বংশবৃদ্ধিকারী ধর্ম ।
১)মুসলিম মহিলারা বাড়িতে থাকে এবং তাদের একমাত্র কাজ হল বাচ্চা তৈরি করা।
২)নারীরা বিশ্ব গড় থেকে কম বয়সে বিয়ে করে, তাই সন্তান উৎপাদনের জন্য আরও বেশি বছর সময় পায় ।
৩)আপনি ইসলাম ত্যাগ করলে, আপনি একজন ধর্মত্যাগী এবং নিহত হতে পারেন ।
৪)যে কেউ একজন মুসলিমকে বিয়ে করলে তাকে অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। খ্রিস্টান ও ইহুদি মহিলাদের মুসলিম পুরুষরা বিয়ে করতে পারে। কিন্তু মুসলিম নারীদের তা করার অনুমতি নেই ।
৫)পশ্চিমে,আপনার যত বেশি সন্তান থাকবে, আপনি তত বেশি রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবেন ।
৬)একজন মুসলিম পুরুষকে ৪ টি পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
৭) বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় মুসলিমরা দরিদ্র। দরিদ্র মানুষদের বেশি সন্তান হওয়ার প্রবণতা থাকে ।
৮) এগিয়ে যান এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করুন। ইসলাম পরিবার পরিকল্পনার ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করে কারণ আল্লাহ সন্তান প্রদানের জন্য দায়ী।
৯) সব ধর্মই একটা নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধা কিন্তু ইসলাম একতরফা ভোগ করে । স্বামী সেক্সের দাবি করলে স্ত্রী অস্বীকার করতে পারবে না । বৈবাহিক ধর্ষণ ইসলামে নেই।
১০) ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে,যদি আপনার সন্তানদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বা মানব ঢাল হিসাবে মারা যায়, তাহলে আপনি ১,৫০০ মার্কিন ডলার নগদ পাবেন এবং আজীনন প্রতি মাসে ৩৫০ মার্কিন ডলার পেনশন পাবেন । তাই ফিলিস্তিনি নারীদের ‘অতিরিক্ত’ ‘ডিসপোজেবল’ সন্তান রয়েছে। গাজান মহিলা প্রতি প্রজনন হার ৩.৩৪ । ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই অর্থ প্রদান করে । ফিলিস্তিন এই শহীদ পেমেন্টের জন্য ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৮ শতাংশ ব্যয় করে। ইসরায়েল থেকে পনবন্দিদের অপহরণ করার জন্য ১০,০০০ মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত একটি অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হয় ।
ইমতিয়াজ মেহমুদ তাঁর এই পোস্টের সাথে একটি মানচিত্রও দিয়েছেন । সেই মানচিত্রে তিনি দেখিয়েছেন যে ২২০০ সালে বিশ্বে ইসলামের জনসংখ্যা কত বৃদ্ধি হতে পারে ।।