এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,১৫ নভেম্বর : বাবার আত্মহত্যা বদলা নিতে প্রতিবেশী মহিলাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করল এক যুবক । ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে । মৃত মহিলার নাম আরজিনা বিবি । প্রতিবেশী যুবক মালেক শেখ ওই মহিলার পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চিড়ে দেয় । এমন নির্মমভাবে মহিলার পেটে ছুরি চালানো হয়েছিল যে তার নাড়িভুড়ি বাইরে বেরিয়ে আসে । আরজিনা বিবিকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছ তাঁর মেয়ে, স্বামী দুলাল শেখ ও মা মহিমা বিবিও । জখমদের প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনজনকেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । দুলাল শেখ এবং মহিমা বিবির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে । এই হামলায় নাম জড়িয়েছে মালেক শেখের দুই বন্ধু এমদাদুল শেখ, সিরাজুল শেখেরও ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা মালেক শেখের সঙ্গে তার বাবা আজহার শেখের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়াঝাটি চলছিল । পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় ‘চিৎকারে অতিষ্ঠ’ হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন প্রতিবেশী আরজিনা বিবি । আরজিনা বাবা ও ছেলেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন বলে অভিযোগ । কিন্তু তার জেরে যে প্রাণ খোয়াতে হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই মহিলা । এদিকে ছেলের সঙ্গে বাকবিতন্ডা থামলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান আজহার শেখ । তার কিছুক্ষণ পরেই পরিবারের লোকজন খবর পায় যে আজহার আত্মঘাতী হয়েছেন ।
জানা গেছে,বাবার আত্মঘাতী হওয়ার খবর কানে যেতেই ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আরজিনা বিবির উপর হামলা চালিয়ে দেয় মালেক শেখ । মালেকের সঙ্গ দেয় তার দুই বন্ধু এমদাদুল শেখ, সিরাজুল শেখ । আরজিনা বিবি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার পেট চিড়ে নাড়িভুড়ি বের করে দেয় মালেক । আরজিনার স্বামী দুলাল শেখের পেটেও ছুরি চালিয়ে দেওয়া হয় । তিন হামলাকারী আরজিনার মেয়ে ও মাকেও ক্ষতবিক্ষত করে দেয় বলে অভিযোগ । প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । এদিকে হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর চম্পট দেয় মালেক শেখ ও তার দুই বন্ধু । পুলিশ তাদের খুঁজছে ।।