এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,১৪ নভেম্বর : যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ধরসু এবং বারকোটের মধ্যে সিল্কিয়ার কাছে নির্মাণাধীন টানেলে ভূমিধসের দুর্ঘটনার পরে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরও এখনও ধসে আটকে রয়েছে ৪০ জন শ্রমিক । টানেল পরিদর্শনকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব রঞ্জিত কুমার সিনহা বলেছেন,’মঙ্গলবার রাত বা বুধবারের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে। তিনি বলেন, ‘এযাবৎ প্রায় ১৫-২০ মিটার ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলছে। আমরা ধ্বংসস্তূপে গর্ত ড্রিল করে স্টিলের পাইপ ঢোকানোর পরিকল্পনা করছি। ‘ তিনি আরও জানান,বর্তমানে শ্রমিকদের পাঁচ থেকে ছয় দিনের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে । ধ্বংসস্তূপ সরাতে জেসিবি ও অন্যান্য মেশিনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে আনতে দেরাদুন থেকে অগার(auger) মেশিন ডাকা হয়েছে। মেশিনটি আসতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এই মেশিন দিয়ে বোরিং করা হবে। এর মাধ্যমে আড়াই ফুট ব্যাসের পাইপ বসানো হবে, যার মাধ্যমে সব শ্রমিক বেরিয়ে আসবে । এই কাজে এক থেকে দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান । আমরা আশা করা হচ্ছে যে মঙ্গলবার রাত বা বুধবারের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে ।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার যমুনোত্রী হাইওয়েতে নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলে দীপাবলির দিন অর্থাৎ গত ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫ টা নাগাদ একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলের মুখ থেকে প্রায় ২৩০ মিটার জুড়ে ভয়ংকর ধস নামে । এই দুর্ঘটনার সময়,৪০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভিতরে উপস্থিত ছিল, যারা ভিতরে আটকা পড়ে। গতকাল সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। উত্তরকাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানিয়েছেন,সব সংস্থার টিম এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ৬০ মিটার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ২০ মিটারের বেশি ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা হয়েছে। টানেলের ভেতরে আটকে পড়া ৪০ জনের কাছে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন, খাবার ও জল পাঠানো হচ্ছে। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান ।
জানা গেছে,ধসের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য অগার(auger) মেশিনের সাহায্যে ড্রিল করে ৯০০ মিমি ইস্পাত পাইপ বসানোর পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ । এই পাইপের মধ্য দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে । ইতিমধ্যেই ৯০০ এমএম ব্যাসের পাইপ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং অগার ড্রিলিং মেশিনের জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে । ক্রমাগত আলগা মাটিতে ধসের কারনে উদ্ধার অভিযানে বাধা সৃষ্টি করছে । যেকারণে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি পাইপ স্থাপন করা হবে। মেশিনটি খনন করবে এবং পাইপ বিছানোর জন্য একটি পথ তৈরি করবে । মনে করা হচ্ছে যে এই প্রক্রিয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার বেশি সময় লাগতে পারে ।।