হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে
একটা দুটো করে খসে পড়ছে
ফেলে আসা দিনের বিবর্ণ
স্মৃতির ঝরা পাতা।
মনে পড়ে যায় সেই বনপলাশী
যেখানে শালবনের ফাঁকে ফাঁকে
চলতো রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা।
ছোট বেলায় বায়োস্কোপে
চোগ রেখে দেখা
এক চোখের
কানামাছি খেলা।
অনুভূতির অনুভবের
ফল্গু ধারায় অতীত
আজও বয়ে যায় নিরবধি।
খোয়াই নদীর সেই খেয়াঘাট
যেথায় সূর্যি ডোবার
পালাবদলে
ভেসে আসত দিকচক্রবালের শেষ সীমানা হতে
ভাটিয়ালি সুর।
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধে
স্মৃতির নাও যেখানে ভেসে যেত
দূর হতে বহুদূর।
ধামসা মাদলের
ড্রিম্ ড্রিম্ শব্দে
যেখানে কিশোরী প্রেম
বাঁধ ভেঙে ছিল প্লাবনে।
সেখানে পদ্মফুলের বনে
অতীতের আনাগোনা চলে হয়তো এখনও
অলিকুলের আগমনে।
জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে
অপরাহ্নের আলোকে
অতীত কে ছুঁতে চায় মন
কাছে টেনে নিতে চায়
নিবিড় বন্ধনে।
ভবিষ্যতের সন্ধ্যার
শেষ খেয়া ঘাটের
পারে….
বর্তমানও পল গুণে চলছে নির্বিকার।
বৈতরণী পার করাতে
যাত্রীর অপেক্ষায়
হাঁক দিয়ে যাবে মাঝি
বারংবার।
আমিও শেষবারের মতো ছুঁতে চাই তোমাকে,
তোমার কপালে একটা ভালোবাসার
তিলক আঁকবো বলে….।।