এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,১০ নভেম্বর : গাজায় হামাসের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে খতম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী । খতম সন্ত্রাসবাদীর নাম আমিন কাসমি(Amin Qasmi) । লস্কর-এ- তৈবার ওই সন্ত্রাসী ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল । শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিকেশ হল ওই সন্ত্রাসবাদী ।
অন্যদিকে ভারতের ওয়ান্টেড আরও এক ইসলামিক সন্ত্রাসীকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হল কুখ্যাত আকরাম খান ওরফে আকরাম গাজী । আকরাম লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) প্রাক্তন কমান্ডার ছিল । বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ২০২৩) রাতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে খতম হয় ওই সন্ত্রাসবাদী । পাকিস্তানের বাজাউর এলাকায় আকরাম গাজীকে বাইক আরোহী কয়েকজন অজ্ঞাত হামলাকারী গুলি করে। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিগত এক সপ্তাহে এটি পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় ঘটনা ।
এর আগে খতম হয় ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সুঞ্জওয়ানে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড খাজা শহীদ । রবিবার (৫ নভেম্বর ২০২৩) তাকে অপহরণের পর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নিয়ে গিয়ে শিরোচ্ছেদ করা হয় । চলতি বছরের অক্টোবরে পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শহীদ লতিফকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ সন্ত্রাসী কমান্ডার রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাসিমকে গুলি করে হত্যা করা হয় । গত মাসে রাওয়ালকোটে ‘লস্কর-ই-তৈয়বা’ প্রধান হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ আবু কাসিমকে গুলি করে খতম করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা । কান্দাহার বিমান ছিনতাই মামলায় জড়িত জইশ-এ-মহম্মদ জহুর মিস্ত্রিকেও খতম করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা । তার কয়েকদিনের ব্যবধানে রাওয়ালপিন্ডিতে খতম হয় হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী বশির আহমেদ মীর ওরফে ইমতিয়াজ আলম । একই সময়ে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে খতম হয় দাউদ মালিক । চলতি বছরের ৪ মার্চ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা খতম করে আইএসআইয়ের এজেন্ট সন্ত্রাসী সৈয়দ নূর শালোবার । নূর শালোবারের আগে সৈয়দ খালিদ রাজা, এজাজ আহমেদ আহাঙ্গার ও বশির আহমেদ নামে সন্ত্রাসীরাও সমসাময়িক সময়ে খতম হয় । তারা প্রত্যেকেই ভারতে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল।।