এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,০৯ নভেম্বর : গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,৪০০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ইরান সমর্থিত ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসীরা । সন্ত্রাসীরা শিশু,মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কাউকেই নিস্তার দেয়নি । শিরীচ্ছেদ করে,জীবন্ত পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে হামাস । নৃসংশতায় ছাড়িয়ে যায় আরও এক কুখ্যাত ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেছটকেও । হামাসের নৃশংসতায় শিহরিত হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব । ছোটো ছোট ইসরায়েলি শিশু,এমনকি অন্তঃসত্ত্বা বধূর গর্ভাবস্থায় থাকায় ভ্রণকে পর্যন্ত পেট চিরে বের করে শিরোচ্ছেদ করেছিল হামাস নরপশুদের দল ।
হামাসের এলিট নুখবা ফোর্সের একজন সন্ত্রাসী ৭ অক্টোবরের গণহত্যার সময় ইসরায়েলের হাতে ধরা পড়েছিল । ওই সন্ত্রাসী ইসরায়েলের শিন বেটের জিজ্ঞাসাবাদে কবুল করে যে সে ইসরায়েলি শিশুদের হত্যার আদেশ পেয়েছিল । জিজ্ঞাসাবাদে ওই সন্ত্রাসবাদী বলেছে,’তারা(ইসরায়েলি শিশু) বড় হবে এবং সৈনিক হবে । তাই তাদেরও হত্যা করেছি আমরা ।’ ধৃত সন্ত্রাসী আরও বলেছে,’ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে ভয় বপন করার জন্য এটা করা হয়েছে ।’
হারেটজের রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসী বলেছে যে সে যা কিছু করেছে তার জন্য তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই এবং বলেছে যে হামাস এবং আইএসআইএস দ্বারা পরিচালিত কর্মের মধ্যে বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে কোন পার্থক্য নেই ।
এই প্রকার এক নৃশংস, বর্বর সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পথে নেমেছে । পরিতাপের বিষয় হল এই যে ভারতের মুসলিমদের মধ্যেও হামাসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে । কলকাতাতেও বিশাল মিছিল করে ফিলিস্থিনের সমর্থনের নামে হামাসের কর্মকাণ্ডকে কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সংগঠনগুলি ।।