এইদিন ওয়েবডেক্স,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৩ নভেম্বর : ১২ বছরের সৎ মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনার পর ফেরার ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূ । গত ৮ অক্টোবর ঘটনার পর থেকে উধাও হয়ে যায় টগর রায় (ঘোষ) নামে ওই মহিলা । অবশেষে আজ শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করেছে ভাতার থানার পুলিশ । আজই ধৃত মহিলাকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,অভিযুক্ত বধূ টগর রায় (ঘোষ)-এর স্বামী অশোক ঘোষ পেশায় চাষি । অশোকবাবুর এটি দ্বিতীয় বিয়ে । প্রথমপক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর টগরদেবীকে কয়েকবছর আগে তিনি বিয়ে করেন ।
অশোকবাবুর প্রথমপক্ষের ১২ বছরের এক মেয়ে ও ৬ বছরের এক ছেলে রয়েছে । অন্যদিকে টগরদেবীর আগেও বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি অশোকবাবুকে বিয়ে করেন । টগরদেবীর প্রথমপক্ষের এক সন্তান রয়েছে । স্ত্রী প্রথমপক্ষের দুই সন্তান ও দ্বিতীয় পক্ষের এক সন্তানকে নিয়ে অশোকবাবুর সংসার ।
জানা গেছে,গত ৮ অক্টোবর অশোকবাবু চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন । বাড়িতে ছিল স্ত্রী ও সন্তানরা । সেই সময় টগরদেবীর সঙ্গে তার সৎ মেয়ের কোনো কারনে বচসা হয় । আর তারই মাঝে টগরদেবী মেয়েকে টানতে টানতে দোতলার ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ । মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সে প্রাণে বেঁচে যায় । এরপর ১১ অক্টোবর কিশোরীর বাবা অশোক ঘোষ এনিয়ে ভাতার থানায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । এদিকে অভিযোগ দায়ের হতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান অশোকবাবুর স্ত্রী । শেষে স্থানীয় এলাকা থেকে খবর পেয়ে পুলিশ আজ ভোরে কুবাজপুর এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে ।।