এইদিন ওয়েবডেস্ক,লেবানন,০৩ অক্টোবর : হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করতে চলেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ । আজ শুক্রবার বিকাল ৩ টা নাগাদ হাসান নাসরুল্লাহ একটি বক্তৃতায় এই সংঘাত শুরু হওয়ার এক মাস পরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিষয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থান সম্পর্কে ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক শক্তি হিসেবে পরিচিত হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। হিজবুল্লাহ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার গাইডেড মিসাইল, আর্টিলারি এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের উপর ১৯ টি হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অবস্থানের জন্য অনেক লেবাননের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে । কারন লেবানন সরকার ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর আগেই হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধে জড়াতে নিষেধ করে । তাসত্ত্বেও তারা যুদ্ধে জড়ায় । মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইসরায়েলের মোকাবিলা করার জন্য ইরান ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে তৈরি করেছিল । আমেরিকা হাসান নাসরাল্লাহকে সন্ত্রাসী মনে করলেও তিনি আরব বিশ্বে বিশেষ করে শিয়া মুসলিমদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় । মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকর্ষণ আমেরিকাসহ বিশ্বের তাবড় অমুসলিম রাষ্ট্রগুলির কাছে চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নাসরুল্লাহ জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে দূরে থাকলেও, হিজবুল্লাহর আরও কিছু কর্মকর্তা এই ফ্রন্টের যুদ্ধ প্রস্তুতির ঘোষণা করে দিয়েছে ।
নাসরাল্লাহ কেন ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেননি জানতে চাওয়া হলে বর্তমান রাজনীতিবিদ হাসান ফজুল্লাহ বলেছিলেন যে তিনি গাজার পরিস্থিতির প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় অনুসরণ করেন ।
তিনি বলেছিলেন যে নাসরাল্লাহ জনসমক্ষে কথা না বললেও তিনি যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন । এদিকে, কিছু সূত্র জানিয়েছে যে হিজবুল্লাহর এ পর্যন্ত হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি বাহিনীকে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি উত্তেজনা রোধ করা । তবে, ইসরায়েল বলেছে যে তারা লেবাননের সাথে উত্তর সীমান্তে সংঘাতে আগ্রহী নয় ।।